অবশেষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। দিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে হাইকমিশনার তার পরিচয়পত্র পেশ করলেন। এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় রাষ্ট্রপতির জরুরি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়া আরও পাঁচ দেশের হাইকমিশনার/রাষ্ট্রদূত দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য বলছে, আজ ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, কোস্টারিকা, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, তুরস্ক এবং কাজাখস্তানের হাইকমিশনার/রাষ্ট্রদূত দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে গত ৭ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লীতে যোগদান করেন। তিনি সাবেক হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন। পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত ১৫ মে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর। তবে দিল্লী শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করে।
গত বছরের নভেম্বরে (২০২৪) বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে রিয়াজ হামিদুল্লাহর জন্য এগ্রিমো পাঠায়। গত ফেব্রুয়ারিতে (২০২৫) ভারত সরকার তার এগ্রিমো গ্রহণ করে। রিয়াজ হামিদুল্লাহ এর আগে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি দিল্লী ও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয়ে বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কূটনীতিকের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরে।