এদেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে হলে ইসলামপন্থীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে তিনি বলেন মতবিরোধ থাকতেই পারে তাই বলে ইসলাম পন্থীদের মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরানো যাবে না। তিনি বলেন বিগত সরকার
জুডিশিয়ারি ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা। যেখানে দেশের এক একশ্রেণীর মানুষকে পাকিস্তানপন্থী রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ মনে করা হতো। তিনি বলেন আমি একজন ইসলামপন্থী এই পরিচয় দিয়ে আমি গর্ববোধ করি
“বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ ছিল প্রধান হাতিয়ার” -এমন মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “এই ফ্যাসিবাদে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকেই জনশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যা ছিল ইতিহাসে বিরল।”
গতকাল রোববার মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘শাপলা থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এবং বাংলাদেশ ইসলামিক কালচারাল সোসাইটির উদ্বেগে মুন্সিগঞ্জ শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন রয়েল পার্টি সেন্টারে বিকাল ৩টায় ২০২৪ এর গণঅভ্যর্থন শাপলা আন্দোলনের প্রভাব শীর্ষ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে মানুষ হত্যা করে জনশত্রু নির্মাণের বয়ান প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে জামায়াত-শিবির কর্মী, পরে হেফাজতের অনুসারীদের ‘যুদ্ধাপরাধী’, ‘জঙ্গি’, ও ‘মৌলবাদী’ আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়ন বৈধতা দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ ছিল বিচারে বৈধতা দেওয়া শাসনব্যবস্থা। শহীদ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না- এমন রায় এসেছে আদালত থেকেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে উচ্ছেদ, এসবই করা হয়েছে বিচার বিভাগের সহায়তায়।”
তিনি রোজ গার্ডেন ভবনের প্রসঙ্গে বলেন, “৩৩১ কোটি টাকা দিয়ে কেনা ভবন ১ টাকায় আওয়ামী লীগের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে। এটি সরাসরি জনগণের অর্থ লোপাটের একটি দৃষ্টান্ত।”
অবৈধ সম্পদ ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “গত এক বছরে শর্ট টার্ম লোন শোধ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য আংশিকভাবে ফিরেছে, যা দুর্নীতিবিহীন প্রশাসনেরই প্রমাণ।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার। আলোচনায় অংশ নেন লেখক ও শিক্ষক সফিক ইসলাম, চিন্তাবিদ জগলুল আসাদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান প্রধান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী মো. ইউনুছ। আলোচনা সভার আগে ড. মাহমুদুর রহমান কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।