# জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন চায় জামায়াত
# সংস্কার বিচার নির্বাচন একটি অন্যটির সাথে সম্পর্কিত নয় -- বিএনপি
# গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান দাবি এনসিপির
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে মহোৎসবে নির্বাচন হবে এবং জাতির সত্যিকার নবজন্ম হবে। এটা শুধু নির্বাচন না, এটা নবজন্ম। এত ত্যাগ, রক্ত-আত্মাহুতি সার্থক হবে যদি আমরা নবজন্মটা লাভ করতে পারি। গতকাল রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই সনদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে। আমি হয়ত গায়ের জোরে বলছি, কিন্তু কথাটা ফেলে দেওয়ার উপায় নেই। জাতি হিসেবে আমাদের নবযাত্রার সুযোগ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিয়ে গেল, সেটার একমাত্র সমাধান হল সমঝোতার পথে গিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা।
গতকাল রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা নানান যুক্তি দিতে পারি। যুক্তির কোন শেষ নাই। কিন্তু সমাধানের পথে থাকতে হবে। অনেকের মনে হয়ত কষ্ট হবে, কষ্ট হলেও মেনে নিচ্ছি। কিন্তু পরে শান্তি পাবেন, দেশ শান্তি পাবে বলে। কারণ দেশের শান্তি বড় শান্তি। আমরা বিতর্কের মধ্যে থেকে গেলে, সেটা কখন বিস্ফোরিত হবে। বিতর্কের মধ্যে থেকে কে কোনদিকে চালু করে দেবে, এটার কোন ঠিক নেই।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের বক্তব্য টেলিভিশনে শোনা এবং কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথমে এটা থেকে কি পাব তা নিশ্চিত ছিলাম না। কোন দিকে যাবে, কথার শুরুতে কলাপস করে যাবে, কারও মুখ দেখা দেখি নাই, এরকম হয়ে যাবে। সত্যি সত্যি আলাপে বসবে কিনা, কার ঐকমত্য কমিশনের কোন নজির নেই। এ নতুন প্রচেষ্টাটা বই থেকে বের করা জিনিস না। বর্তমান পরিস্থিতি উপলক্ষ্য করে সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি হিসেবে চেষ্টা করে দেখলাম। দীর্ঘপথ অতিক্রমের পরে আমি আবির্ভূত হয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঐকমত্য কমিশন বিশ্বের জন্য নজির হিসেবে থাকবে উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটা যেন খুতওয়ালা নজির না, এ আবেদন আমার। এমন নজির সারা বিশ্ব দেখবে এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করবে। কারণ আপনারা মূল কাজটা করে ফেলেছেন, সামান্য রাস্তা বাকী। সবকিছু নির্ভর করছে শেষ অংশটুকুর ওপরে।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছেন। বাকী রাস্তাটুকু যাতে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করে পৃথিবীর জন্য নজির সৃষ্টি করে যাবেন। যে সমস্যা অতিক্রমের জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, সেটা শুধু আমাদের নয়, দুইদিন আগে নেপালে শুরু হল, এরকম বহুজনের সমস্যা হবে। অতীতে হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। তাই আমাদের সমাধানের পথ সবাই মনোযোগসহকারে দেখবে।
ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানের আলাদিনের চেরাগের দৈত্য তৈরি করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা তার কাছে কি চাইব? আমরা কি তার কাছে এককাপ চা চাইব? না দুনিয়া পাল্টে ফেলতে চাইব। এটি হল আমাদের হাতে। কোন বিষয় ছোট আকারে না রেখে, এই জাতিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাব। এ সুযোগটা এসেছে। সেখানে ছোটখাট বিষয়ের মধ্যে আটকে গিয়ে আমরা যেন মূল বড় জিনিস থেকে হারিয়ে না ফেলি। এই জাতিকে আমরা যে ভাবে চালু করে দিলাম এটা খালি উপর থেকে উঠবে, ডানে-বায়ে দরকার নেই। ওই অংশটা করেন।
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, স্বৈরাচার আসার সব পথঘাট বন্ধ করা যাতে কোন দিক দিয়ে স্বৈরাচার আসতে না পারে। বাকিটা আমরা জানি। স্বৈরাচার বন্ধ করতে হলে সবাইকে একমত হয়ে করতে হবে। দ্বিমতের জায়গা নেই। দ্বিমত করলে সমাপ্ত করতে পারব না। সবাইকে একমত হয়ে সনদ করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তাহলে নির্বাচন সার্থক হবে। যতই আমরা নোক্তা দিয়ে যাই কিন্তু আমাদের মহান ঐক্য দরকার। কি চাই সেটা ঠিক করলেই, কিভাবে করবে তা দৈত্য ঠিক করবে। কোন অসুবিধা হবে না। আমরা বিশেষজ্ঞদের বলব, এটা করে দাও। সে পথে অগ্রসর হতে পারব।
তিনি বলেন, ওই দৈত্যকে আমরা বড় কাজটা দেব। যেটা আর কোনদিন চাইবারও সুযোগ পাবে না। এ দৈত্য একবারই পাচ্ছি আমরা। আমাদের মনের সমস্ত আশা পূরণের দায়িত্ব তার ঘাড়ে দিয়ে দেব। সে দিকে আমরা যেতে চাই। তিনি বলেন, ভেতরে কোন রকমের দুশ্চিন্তা রেখে আমাদের যেন নির্বাচনে ঢুকতে না হয়। উৎসব এখান থেকে শুরু হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধেই হবে। এটাই হল পথ। আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি। এ পথেই যাব। আমাদের আবেদন সব পথঘাট বন্ধ করতে হবে, যাতে কোন জায়গা দিয়ে ঢুকতে (স্বৈরাচার) না পারে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজটা করে ফেলতে পারলে আমাদের দেশ নিশ্চিন্ত হবে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমাদের থেকে শিখতে আসবে।
ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম ভালোভাবে শেষ করার অনুরোধ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ কাজ যেন নিখুঁত ও নির্দোষ হয়। এমনভাবে করব যাতে তা হতে নতুন জাতি জন্মগ্রহণ করবে। আপনারা নতুন জাতির সূতিকাগার তৈরি করে দিলেন। মনের মধ্যে যাতে খুতখুতি না নিয়ে সবাই যাতে নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার আলাদিনের প্রদীপের গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো। প্রদীপে ঘষা দিলে দৈত্য বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে- কী করতে হবে আমার। এই যে প্রশ্নটা করে, এর উত্তর নানাভাবে দেওয়া যায়। চাইলে তার কাছে চা খেতে চাইতে পারি, তাকে যদি বলা হয় সারা দুনিয়া এনে দিতে, এনে দিতো। ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি দৈত্য তৈরি করে দিয়েছে। আমরা তার কাছে কী চাইবো, আমরা কী তার কাছে চা চাইবো, নাকি দুনিয়া পাল্টে ফেলতে চাইবো। আমরা এই জাতিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাবো। ছোট জিনিসে আটকে যেন বড় জিনিস হারিয়ে না ফেলি।
তিনি বলেন, অবাক বিস্ময়ে আমি আপনাদের বক্তব্য শুনেছি। অবাক হয়েছি কত গভীরভাবে আলাপ করেছেন, সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করেছেন। যখন ঐকমত্য কমিশনের আইডিয়া আসে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না এটা কোনদিকে যাবে। এটার কোনও নজির নাই। এটা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। এই যে নতুন প্রচেষ্টা, এটা আমাদেরই বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে দেখলাম। দীর্ঘপথ অতিক্রমের পরে আমি শিহরণ অনুভব করছি, অভিভূত হয়েছি। এটা শুধু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা হয়ে থেকে যাবে না। অন্যান্য দেশও এটা লক্ষ করবে যে আমরা কী পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। এ নজির যেন খুঁতওয়ালা নজির না হয়।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন চায় জামায়াত
জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হলেই তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। দলের পক্ষ থেকে সনদ বাস্তবায়নের দুটি উপায়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি হলো- প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার। অতীতে এটার নজির আছে। আরেকটি হলো- গণভোট। এটার ইতিহাসও দেশে আছে। দলগুলো একমত হতে না পারলে গণভোটের মাধ্যমে মানুষ রায় দেবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন,সরকারের প্রতিশ্রুতি যেটা ছিল এক নম্বারে সংস্কার করা। বিগতদিনে রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে যেধরনের ত্রুটিবিচ্যুতি ধ্বংসসহ আবর্জনা তৈরি হয়েছিল এটা দূরিবিত করে বাংলাদেশকে একটি নতুন পথে নিয়ে যাবে, এটা ছিল সরকারের প্রথম অঙ্গীকার। সেকেন্ডলি সরকারের প্রতিশ্রুতি গণহত্যার বিচার তৃতীয় একটি উৎসমুখ পরিবেশে ইতিহাস সেরা নির্বাচন সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল। জামায়াতের এই নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করতে চান প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে সুষ্ঠু হবে গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি বলেন,‘কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের দুটি নির্বাচন কিছুটা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করেছে। নির্বাচনের পরিবেশ এবং নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে যতটুকু আমরা লক্ষ্য করেছি, এটাকে আমরা একটি নেতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখতে চাই। এটার পর আবার জাতীয় নির্বাচনে পড়বে কিনা,সেই জায়গা থেকে আমার উদ্বেগরর কথা আমরা জানাচ্ছি। যেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ একটি প্রশাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তাহলেই আমাদের আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন হবে। এজন্য আমরা বলতে চাই আজকে যে সংস্কারের মধ্যে দিয়ে জাতীয় সনদটা হতে যাচ্ছে এটার একটা সমাপ্তি সুন্দরভাবে হোক। ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানান আযাদ এবং সহসভাপতি আলী রীয়াজের হাত দিয়েই যেন এটার সমাপ্তি হয় সেই অনুরোধ করেন।
গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান দাবি এনসিপির
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে দিয়ে নতুন সংবিধান ও নতুনভাবে লিখিত ধারা-উপধারা ও অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যে সংশোধনী ও সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছি সেইগুলো টেকসই-ভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আমরা দীর্ঘদিন আলোচনা করছি। আমরা ২ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তার একটি হলো যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। সেইগুলো অর্ডিন্যান্স অথবা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিন্তু রাষ্ট্র কাঠামো অনেক বিষয়গুলো নিয়ে যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যাতে সংবিধানের মৌলিক কতগুলো বিষয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এত বড় পরিবর্তন যে সেইগুলোকে শুধু মাত্র সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে টেকসই করা সম্ভব কিনা তার আশঙ্কার জায়গাটি আমাদের মাঝে বিদ্যমান রয়েছে।
সংস্কার বিচার নির্বাচন একটি অন্যটি ওপর সম্পর্কিত নয়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন কোনোভাবেই একটি অন্যটি ওপর সম্পর্কিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটি কনটিনিউ প্রসেস। বিচারেও টাইম লিমিট করা যায় না, তাতে অবিচার হবে। সেটা (বিচার) চলবে, যে সরকারই আসুক। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অবিচারের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠান যেন না হতে পারে, যেন একটি অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, ফ্যাসিবাদী শক্তি সেই চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ পেলে, আস্কারা পেলে জাতীয় জীবনের জন্য, এমনকি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটি রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেড হতে পারে।
প্রতিবেশী শক্তিধর দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এখানে দুটি রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইম লাইনে নির্বাচন হতেই হবে।