রাজধানীতে এক হিন্দু (সনাতনী) নারীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় থানায় জিডি হয়েছে। রমনা থানার জিডি নাম্বার-১৮৪৫। ভূক্তভোগী নারী জিডিতে উল্লেখ করেন, বিবাদী মো. মেসবাউল ইসলাম কয়েস, পিতা নিমার আলী, মাতা হোসনে আরা বেগম, সিলেটের বিমানবর্ন্দ এলাকার ফরিদাবাদ আবাসিক এলাকা ও তারই পরিবারের সদস্য নাদেল মোরশেদ, পিতা তরাব উদ্দিন মাতা নূরজাহান, মো. জানু মিয়া ও গোলাম আরাফাত চৌধুরী আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে যান। এদিকে বিবাদী মেসবাউল ইসলাম কয়েসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং সংশোধন ২০০৩ এর ৯(১) দন্ডবিধি ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে নারী নির্যাতন কোর্ট-৮ এ চলমান। মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টেও শুনানীর জন্য অপেক্ষমান।
জিডিতে উল্লেখ করা হয় মামলার ১ নম্বর আসামি মেসবাউল ইসলাম কয়েস নিজে, তার চাচা জানু মিয়া এবং তার শ্যালক নাদেল মোরশেদকে দিয়ে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এবং আপোষ করার জন্য হুমকি দিয়ে আসতেছে। কয়েকদিন আগে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম মেসবাউল ইসলাম কয়েস আরও ৮ টি মামলার আসামি। বর্তমানে সিলেট জেলখানাতে রয়েছে। বিগত ৫তারিখে অচেনা ৪ জন লোক আমার ভাড়া বাসার গেইটে উল্লেখিত লোকজন ডেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা প্রলোভন এবং টাকা দেওয়ার লোভ দেখায়। তাতে রাজি না হলে জানু মিয়া ও নাদেল মোরশেদ আমাকে বলে তোকে ধর্ষণ করবো। এবং দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবো।