গোয়েন্দা ব্যর্থতাই গোপালগঞ্জের ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করেন সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর থাকলে গোপালগঞ্জে এত বড় ঘটনা ঘটতো না। জুলাই চেতনা নস্যাৎ করে পতিত প্রধানমন্ত্রীকে পুনর্বাসন করার জন্য চক্রান্ত চলছে, যাতে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। গোপালগঞ্জের ঘটনা তারই উদাহরণ।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘মব সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয়’ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে মো. আশরাফুল হুদা বলেন, পুলিশের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে দিলে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের সামনে হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। শহরের মধ্যে ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুইদিন পরে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের তৎপর হওয়াটা দুঃখজনক। এখানে পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে তারও সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। সাবেক এই আইজিপি বলেন, মব ভায়োলেন্স শুধু ভুক্তভোগীরাই করে না। নৈরাজ্য সৃষ্টি ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কেউ কেউ টার্গেট করে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার জন্য এ ধরনের মব ভায়োলেন্স করছে।

মব সন্ত্রাস জাতীয় জীবনে নতুন আপদ হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে উল্লেখ করে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশটা মবের মুল্লুকে পরিণত হচ্ছে। সমাজের ক্যান্সার মব সন্ত্রাস। মব কালচার গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে কলঙ্কিত করছে। এটা বন্ধ করা না গেলে জনজীবনে আতঙ্ক বাড়তে থাকবে। অফিস—আদালত, রাস্তা—ঘাট, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও ট্রেন স্টেশন সর্বত্র ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, বিচার ব্যবস্থার জটিলতা, রাজনৈতিক আশ্রয়—প্রশ্রয় ও সামাজিক অবক্ষয়ের ফলেই মব সন্ত্রাস বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা মব সন্ত্রাস বৃদ্ধির প্রধান কারণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি’র বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।