গণঅভ্যুত্থান তথা জনগণের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি না হলে কোন আইনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন করবে, সে প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শিশির মনির লেখেন, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান তথা জনগণের ক্ষমতাকে সাংবিধানিকভাবে পাকাপোক্ত করতে হবে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের বেড়াজাল থেকে বের হতেই হবে।
তিনি আরও লেখেন, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিক সংকটে পড়বে। এই যে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করার কথা বলা হচ্ছে- এর আইন কোথায়? কোন আইনে নির্বাচন হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেটা ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়বে।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়া হয়। আপিল বিভাগ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন।
আইন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আপিল বিভাগের এই মতামতকে অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা বলে মনে করেন। তবে আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরের মতে এই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সাংবিধানিক সরকার নয়। এটা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। তাই বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে।