খামারিদের উন্নয়নে দুই হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের। গতকাল শুক্রবার পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত কৃষি-ভিত্তিক অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ, যা সরাসরি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত। মোট ১০টি খাতে এ বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন খামারিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত কৃষি-ভিত্তিক অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ, যা সরাসরি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত। এ খাতের মেরুদণ্ড হলো প্রান্তিক খামারিরা, যারা সীমিত মূলধন ও অবকাঠামো নিয়ে প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে জাতিকে পুষ্টি জোগাচ্ছেন। অথচ এ পরিশ্রমী খামারিরাই প্রতিনিয়ত বাজারের অস্থিরতা, ফিড ও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং করপোরেট সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিপতিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) দেশের নিবন্ধিত প্রান্তিক খামারি ও ডিলারদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে এ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং খামারিদের অধিকার সুরক্ষায় একটি সমন্বিত ও বাস্তবমুখী বাজেট সুপারিশ পেশ করছে। দুই হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে পোল্ট্রি খাতের পুনরুত্থান, বাজারের স্থিতিশীলতা এবং প্রান্তিক খামারিদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে।
এতে আরো বলা হয়, মোট দুই হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে ফিডে ভর্তুকিতে ৪০০ কোটি টাকা, ওষুধ ও ভ্যাকসিনে সহায়তায় ২০০ কোটি, সুদমুক্ত ও জামানতবিহীন ঋণে ৩০০ কোটি, সমবায় ভিত্তিক ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপনে ৩০০ কোটি, আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিটে ৩০০ কোটি, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ও অনলাইন মার্কেট প্লাটফর্মে ১০০ কোটি টাকা, প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে ১০০ কোটি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহায়তায় ২০০ কোটি, অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও লাইভ বাজার নিয়ন্ত্রণে ১০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপিতে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা যাবে না, বরং গোটা জাতির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি তৈরি হবে। কারণ পোল্ট্রি খাত শুধু একটি কৃষি খাত নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ এবং দেশের কোটি মানুষের জীবিকার উৎস। এছাড়া খামারিরা যেন স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্মত প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারেন, সেজন্য প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি সহায়তা ও বাজার সংযোগ নিশ্চিত করা হবে। ধীরে ধীরে লাইভ মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোল্ড চেইনের আওতায় প্রক্রিয়াজাত।