আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশবাসী ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলো হলো:

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা হবে। স্বৈরাচারী শক্তির দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ।

এই দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

ঘোষিত দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য মহানগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় পরিবর্তন : বিসিএস পরীক্ষার কারণে বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল মঙ্গলবার দেয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশবাসী ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫-দফা দাবির ভিত্তিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে জানা গেছে যে, আগামী ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এমতাবস্থায় বিসিএস পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল অবস্থান নিয়েছে। আমরা মনে করি, বিকালে কর্মসূচি পালন করলে পরীক্ষার কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। সে কারণে ইতোমধ্যেই সারাদেশের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর সকালবেলায় কোনোভাবেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা যাবে না, কর্মসূচি শুধু বিকালে অনুষ্ঠিত হবে।

আমরা আন্তরিকভাবে দোয়া করছি, বিসিএস পরীক্ষার্থীরা যেন যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।