জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করায় আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলম পরওয়ার। সেই সাথে আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দেশের জনগন ও প্রবাসে যারা জামায়াতের জন্য দোয়া করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে উল্লেখ করে বলেছেন, কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবু নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আমাদের আছে। তাদেরকে শক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। যারা জীবন দিয়েছেন ও রক্ত দিয়েছেন তাদের স্বপ্ন বৃথা যেতে দেয়া যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিং এ তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ। কিভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল এই ইতিহাস সবাই জানেন। নির্বান কমিশন ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দিয়েছিল। নিবন্ধন নাম্বার ছিল ১৪, প্রতীক ছিল দাঁড়ি পাল্লা। কিন্তু দুর্ভাগ্য ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর আদালতে আদেশে নির্বাচন কমিশন এ নিবন্ধন বাতিল করেছিল। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ে অবশেষে ১ জুন সুপ্রিম কোর্ট আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তারই ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গেজেট জারি করেছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জামায়াত রাজনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে : শিশির মনির

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে এটা সবার প্রত্যাশা।

গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেট জারির পর তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ শ্রেণী নির্বিশেষে সবাই একাকার হয়ে জামায়াতে ইসলামীর এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হবেন এটাও আমরা প্রত্যাশা করি। সেইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এখন বাংলাদেশে স্মার্ট, ইফেক্টিভ, ইনোভেটিভ এবং ইনক্লুসিভ রাজনৈতিক এনভায়রনমেন্ট গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। এছাড়া সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও জামায়াতের ভূমিকা হবে অনন্য অসাধারণ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য জামায়াতে ইসলামী তার সব কর্মকা- অব্যাহত রাখবে। আশা করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন নতুন ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সৃষ্টি হবে। ইনক্লুসিভ রাজনীতি করার ক্ষেত্রে সকলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাও আমরা প্রত্যাশা করি নতুন প্রজন্মের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে অবশ্যই দৃষ্টান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যা সবার জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।