গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করতে টুঙ্গিপাড়ায় মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে চলাচলে বিঘœ ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২৮২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে টুঙ্গিপাড়া থানার এসআই মনির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি করেন।
আসামীদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-টুঙ্গিপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতি জামান পল্লব, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাবুল হাসান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন বিশ্বাস কালু, কুশলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির মোল্লা, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মমিন মর্তুজা ও বর্নি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রোমান মোল্লা।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সমাবেশকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ার (পিরোজপুর-ঢাকা) মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা ও জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করতে থাকে। এছাড়া মহাসড়কের আশপাশে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে। ওসি খোরশেদ আলম বলেন, গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এ মামলার এজাহারনামীয় ২৩ জনসহ মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে হওয়া এ মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশের অভিযান চলবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে, যেখানে আসামি করা হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষকে। এসব মামলার আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ ৩৫৮ জনের নাম রয়েছে। ‘অজ্ঞাত’ আসামি ২৬৫০ জন। এসব মামলায় ২৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবগুলো মামলাই করেছে পুলিশ। সবশেষ মামলাটি হয় শুক্রবার রাতে, গোপালগঞ্জ সদর থানায়।