রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ প্রাঙ্গণে আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় একজন ফøাইট লেফ্টেন্যান্ট-সহ দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

গতকাল সোমবার দুপুরে কমিশনের ১৬তম দিনের আলোচনায় এ শোক জানানো হয় এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করে পরবর্তী অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

দুর্ঘটনার পরপরই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ শোকবার্তা পাঠ করেন এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয় এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। কমিশনের সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত ও আহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অধিবেশন দিনের বাকি সময়ের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

দিনের কার্যধারায় গতকাল কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৬তম দিনের আলোচনা চলছিলো। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি এবং প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান ছিল আলোচ্যসূচিতে। সকালে বিষয় দুটি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।

এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মোঃ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে দেয়া প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

চ-১ (ঠঠ) ২১-০৭-২০২৫

ইয়ারলুং জাংবো নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করবে না চীন

স্টাফ রিপোর্টার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনা রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক চীন সফরের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এরমধ্যে বাণিজ্য, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, মৎস্য, সবুজ শক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানান, ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর চীনা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। চীন প্রকল্প থেকে কোনো পানি প্রত্যাহার করবে না বা ব্যবহার করবে না এবং প্রকল্পটি ভাটির দেশগুলিকে প্রভাবিত করবে না। এ বছর বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় উভয়পক্ষ সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।