ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আমেনা মহসিন। বিমসটেক সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক সংগ্রামের সাথে। কথা বলেছেন ইবরাহীম খলিল।

প্রশ্ন : বিমসটেক থেকে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

অধ্যাপক আমেনা মহসিন : দেখুন, এধরনের সম্মেলনগুলো সব সময় ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। বিশেষ করে কানেক্টিভিটি। সম্মেলনগুলোতে দেশের প্রধান ও সরকার প্রধানগণ অংশ নেন। তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। বিশেষ করে তাদের মধ্যে সাইডলাইনের যে বৈঠকগুলো হয় তার একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সেখানে বড় বড় সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটে।

প্রশ্ন : বিমসটেকে প্রফেসর ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

অধ্যাপক আমেনা মহসিন : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের বড় গুরুত্ব রয়েছে আমাদের কাছে। এটি ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাথে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পারসন টু পারসন বৈঠক। বৈঠকে আমাদের দেশের চাওয়া-পাওয়া সুবিধা-অসুবিধা এবং অভিযোগগুলো জানানো গেছে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

প্রশ্ন : রোহিঙ্গা প্রত্যার্তনের আশ্বাসকে কিভাবে দেখছেন?

অধ্যাপক আমেনা মহসিন : বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না। কারণ এর আগেও মিয়ানমার বলেছে তারা (রোহিঙ্গারা) প্রত্যাবর্তনের যোগ্য বা এলিজেবল। তার আগে ভাবতে হবে সেখানকার পরিবেশ কেমন। আরাকানে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ আছে কি-না। রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে চায় কি-না। আসলে এরা কোথায় যাবে? সেই পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ আগামী ২ বছরের জন্য চেয়ারের দায়িত্ব পেয়েছে। কী দায়িত্ব পালন করতে পারে?

অধ্যাপক আমেনা মহসিন : আসলে অনেক কিছু করা যেতে পারে। বিশেষ করে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। এই সংস্থার মাধ্যমে বাণিজ্যের উন্নয়নে কাজ করতে পারে। একটা সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই সারাবিশ্বে মোড়লিপনা করেছে। এখনকার বাস্তবতা কিন্তু তা না। এখন আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। সব কিছু নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। পরস্পরের চাহিদাগুলো চিহ্নিত করে মেটানোর পাশাপাশি সৃষ্ট সংকট মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হবে।