# হাট ছাড়া অন্য কোথাও যাবে না পশুর গাড়ি

# সড়কে পুলিশ বা অন্য কেউ গাড়ি থামাবে না

# পুলিশ ছাড়াও র‌্যাব-সেনাবাহিনী থাকবে নিরাপত্তায়

কুরবানির ঈদ এলেই দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলে পশুবাহী ট্রাক। এসময় পথে পথে ট্রাকের গতিরোধ করে চলে চাঁদাবাজি। টাকা দিয়ে চলে ম্যানেজের চেষ্টা। অতীতে এধরনের চাঁদাবাজির ঘটনার শিকার হয়েছেন গরুর বেপারীরা। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও কুরবানির পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির আশঙ্কা করছেন বেপারীরা। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা ইতিমধ্যে পশুরহাট সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় এসব অভিযোগ করেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেপারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার আশ^াস দিয়ে নির্বিগ্নে হাটগুলোতে পশুর ট্রাক পৌঁছে দেয়ার আশ^াস দিয়েছেন।

পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, পশুবাহী ট্রাক নিয়ে রংপুর থেকে ঢাকা পৌঁছাতে অন্তত ১২ থেকে ১৩ জায়গায় তাদের চাঁদা দিতে হয়। যারা চাঁদা নেন তারা সবাই বাইরের লোক। তবে এখানে রাজনৈতিক লোক বেশি। এছাড়াও ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজারে বড় সমস্যা জ্যাকেট বাহিনী। তারা জোর করে হাটে গরুর গাড়ি ঢুকাতে বাধ্য করে। কেউ গাড়ি ঢুকাতে না চাইলে তাদের মারধর করে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির এক নেতা জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া ঘাটে চাঁদাবাজি হয়। বিষয়টি আগে এক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিগত সময়ে পতিত সরকারের একজন মন্ত্রী ও সচিব আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, এ চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, কিন্তু বন্ধ হয়নি। তবে আগের তুলনায় কিছুটা কমেছিল, কিন্তু চাঁদাবাজি হয়েছে। তিনি বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকে আগে যেভাবে চাঁদাবাজি হতো তার চেয়ে অনেকাংশে কমেছে।

রংপুর থেকে ঢাকায় আসতে মডার্ন মোড়, কারুপণ্য মোড়, গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল টাঙ্গাইল, বাইপাইলসহ ঢাকায় প্রবেশের বিভিন্ন জায়গায় এ চাঁদা নেওয়া হয়। যারা চাঁদা তোলে তারা সবাই বাইরের লোক। এখানে সব ধরনের লোকই আছে। আগে যেভাবে চাঁদাবাজি হতো এখন তা হয় না। এজন্য তিনি আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অধিকাংশ গরুর গাড়ি মধ্যরাতে মেট্রোসিটির ওপর দিয়ে যায়। ফলে মেট্রো সিটিতে এ সমস্যাটা প্রকট। যারা বাধা সৃষ্টি করে তারা স্থানীয় ও হাট কেন্দ্রিক লোকজন। যা একটি ভয়াবহ সমস্যা। পরিবহন মালিকদের দাবি রাস্তার ওপরে যেন গরুর হাট বসতে না দেওয়া হয়। রাস্তায় কোনো গরুর ট্রাক লোড-আনলোড হবে না। এজন্য কোনো খোলা মাঠ বা ফাঁকা জায়গায় গরুর ট্রাক লোড-আনলোড করতে হবে। তাহলে ঈদে মহাসড়কে যানজট কমানো সম্ভব।

এদিকে কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই পশুর খামারিদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। কারণ মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া ডাকাত ও কতিপয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী। প্রায়ই বিভিন্ন যানবাহন আটকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের সব লুট করছে তারা। মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটছে। সপ্তাহ খানেক পরেই শুরু হবে পশুবাহী গাড়ির আনাগোনা। গ্রামাঞ্চল থেকে পশুভর্তি ট্রাক নিয়ে কারবারিরা ঢাকার বিভিন্ন হাটে আসবেন। পশুবাহী এসব গাড়ি নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে। কারণ ডাকাতরা গরু ডাকাতি করে অন্য হাটে নিয়ে বিক্রি করার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া এই সময় খামারিরা পশু বিক্রির টাকাও বহন করবেন। জাল টাকার কারবারিরা কৌশলে গরুর হাটে জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করতে পারে। অন্যদিকে অজ্ঞানপাটির্, মলমপার্টি, ছিনতাই চক্রের সদস্যরাও তৎপর থাকবে। সবমিলিয়ে কুরবানি ঈদের আগেই মহাসড়ক আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়েছে।

যদিও হাইওয়ে পুলিশ বলছে, আতঙ্ক ভয় থাকবেই। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়া পুরাতন অন্তত ১৪০০ ডাকাতের তালিকা রয়েছে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশের কাছে। এসব তালিকা ধরে ডাকাতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক ডাকাতকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়ক নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মহাসড়কগুলোতে একের পর এক ঘটনা আলোচিত হয়েছে। নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় যাত্রী, কারবারি, যানবাহনের চালক সবাই আতঙ্কিত। মহাসড়ককে নিরাপদ করার জন্য অতীতেও পুলিশ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। জনসচেতনতায় মাইকিং, পোস্টারিং, অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তা টহল বাড়িয়েও নিরাপদ করা যায়নি মহাসড়ক। মহাসড়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের কাছে নেই পর্যাপ্ত জনবল। তাই তাদের সীমিত সংখ্যক জনবল ও ধার করে আনা জনবল দিয়ে জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে হাইওয়ে নিরাপদ করার কাজ চলছে। হাইওয়েকে নিরাপদ করার জন্য পুলিশ ছক তৈরি করলেও জনবলের অভাবে অনেক সময় বাস্তবায়ন করা যায় না।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, চাহিদার তুলনায় সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ চলছে। তবে কিছু বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সারা রাত টহল, সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, তালিকাভুক্ত ডাকাতদের তালিকা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। অন্যান্য বছর শুধু যাত্রীবাহী যানবাহন নিয়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও কুরবানি ঈদে যাত্রীবাহী যানবাহনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পশুবাহী গাড়ি। পশুবাহী গাড়ি যাতে ডাকাতরা নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বড় বড় খামারের মালিক, গরু কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৪২৭টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মাওয়া এক্সপ্রেস রোডে ৬৫০টি বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য মহাসড়কে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিশেষ বিশেষ কিছু স্থানে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও হাটকেন্দ্রিক কিছু ক্যামেরা বসানো হবে। হাইওয়ে পুলিশের আশা এবার ডাকাতি হবে না। কারণ ডাকাতিপ্রবণ এলাকাগুলোতে বেশি নজর দেয়া হয়েছে । ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ বছরে মহাসড়কে ডাকাতির বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত ১ হাজার ৪শ জনের একটি তালিকা করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে জেলা পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, আশা করি, গত ঈদের মতো আগামী ঈদুল আযহায়ও অপরাধমুক্ত ও স্বস্তির সঙ্গে যাত্রা করতে পারবে সাধারণ যাত্রী এবং পশুবাহী পরিবহন। এবারও কোন সমস্যা হবে না। ঈদুল ফিতরে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একটি, শুধু যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছানো নিয়ে। কিন্তু এবার আমাদের চ্যালেঞ্জ দুইটা। এবার যাত্রী যাবে, পশুর ট্রাক আসবে। এবার আমাদের এই দুটো চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। গত ঈদে যেমন যাত্রী বাড়িতে গেছে ঢাকায় আসার রাস্তাটা ফাঁকা ছিল, এবার যাত্রী যাবে আবার পশুবাহী গাড়ি আসবে। তিনি বলেন, পশুর ট্রাকগুলো সাধারণত আসে তড়িঘড়ি করে। পশু বেশি আসবে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট এলাকা থেকে। সবসময়েই এই সমস্ত এলাকা থেকে বেশি গরু এসে থাকে। দেলেয়ার হোসেন মিয়া বলেন, হাইওয়ে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২২৯ টা হাট আছে। এই হাটগুলোর ইজারাদার ও ফরিয়া যারা গরু কিনে বিক্রি করে তাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে হাইওয়ে পুলিশ একাধিকবার বৈঠক করে ফেলেছে। ওরা গরুগুলো কিনে কিভাবে ঢাকায় নিয়ে আসবে সেসব বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি যেখানে বড় হাট আছে সেখানে ১০/১৫টা গাড়িতে একসাথে গরু উঠিয়ে দিয়ে ওই গাড়িগুলোকে আমরা কনভয় করে ঢাকা পর্যন্ত বা যেখানে যাবে সেখানে পৌঁছে দিব। গত ঈদে যেভাবে সমন্বয় ছিল এবারও ১০ বা ২০ কিলো মিটার পর্যন্ত বিভিন্ন পার্টির কাছে পশুবাহী ট্রাক পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে যাতে ছিনতাই-চাঁদাবাজি না হয়।

অতিরিক্ত আইজিপি দেলেয়ার হোসেন মিঞা বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। বিশেষ করে অধিনায়ক বা কোম্পানি কমান্ডাররা যারা আছেন তারা সবসময় আমাদেরকে সহায়তা করে থাকেন। সমন্বিতভাবে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে আমরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একসাথে কাজ করব। তিনি বলেন চাঁদাবাজি হওয়ার কোন সুযোগ নেই তারপরও যদি কেউ চাঁদাবাজি করে থাকে তাহলে আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদাবাজি-ছিনতাই রোধে কাউকে ছাড় দেবো না। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। আরেকটা বিষয় হলো যে আমরা এখন আইন প্রয়োগ করতে পারছি, আমাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না এবং আমরা এখন আইন প্রয়োগ করতে কোন রকম বাধার সম্মুখীন হচ্ছি না। এখন আমাদের কাছে কেউ তদবির করতে পারছে না, ফলে হাইওয়েতে অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন আমাদের জন্য সহজ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম দৈনিক সংগ্রামকে জানান, পশুবাহী গাড়ির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাস্তায় কেউ কোনো গাড়ি থামাতে পারবে না। কুরবানির ঈদের সময় মহাসড়কে চলাচলকারী পশুবোঝাই ট্রাক রাস্তায় থামানো যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্য পশুর গাড়ি থামাবে না, এমনকি কোনো ব্যক্তিও কোনো গাড়ি রাস্তায় থামাতে পারবে না। এ জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে হাটের জন্য পশুবোঝাই ট্রাক যাবে কেবল সেই হাটে গিয়ে থামবে। এ ক্ষেত্রে ট্রাকের সামনে ব্যানারে হাটের নাম লিখে রাখতে হবে। ব্যানারে লেখা হাটের বাইরে অন্য হাটে পশুর গাড়ি যেতে পারবে না। আর এসব ট্রাকের নিরাপত্তা দিতে মহাসড়কের পথে পথে বিভিন্ন পয়েন্টে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে হাইওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এসব কার্যকর করতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য হাইওয়ে পুলিশের লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। যেখানে প্রতিটি থানা ও কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানান, হাইওয়ের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে ৭০০ ফোর্স আমাদেরকে দেয়া হয়েছে, আরও ৫০০ ফোর্স আমরা চেয়েছি। নিয়মিত যে মোবাইল পার্টি ছিল তা দ্বিগুন করে দিয়েছি। পশুর হাট ও হাইওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইট করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যালো এইচপি’ নামে হাইওয়ে পুলিশের একটি আ্যাপস চালু করা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের সাথে মিটিং করে তাদেরকে এটা দিয়ে দেব। মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীরা এটি ব্যবহার করতে পারবে। কোথায় গাড়ি আছে, কোনো সমসা হচ্ছে কি না, কেউ চাঁদাবাজি করছে কি না আ্যাপসের মাধ্যমে অটো বাটনে চাপ দিয়ে আমাদেরকে সহজেই জানাতে পারবে। সে অনুযায়ী আমরা কাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে পারবো।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনও নির্ধারিত কুরবানির পশুর হাটের উদ্দেশে যাওয়া গাড়ি মাঝপথে থামানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহার সময় সাধারণত আমাদের কুরবানির গরুর হাটগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যায়। সেজন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব কুরবানির পশুর বা গরুর গাড়ি আসবে সেসবের সামনে সুনির্দিষ্ট হাটের তথ্য থাকতে হবে। যেখানে-সেখানে গরু নামাতে পারবে না। রাস্তায় গরু না নামিয়ে নির্ধারিত স্থানে নামাতে হবে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হাটেই আনসার রাখতে হবে। কিছু হাটে ৭৫ জন করে আবার কিছু হাটে কম-বেশি হতে পারে।