রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের অবরোধ শেষে সড়ক ছাড়েন কারিগরির শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। প্রয়োজনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে দুপুর ২টার দিকে সাতরাস্তা মোড়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কর্মসূচির কথা জানান কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাশফিক ইসলাম। তিনি বলেন, সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আজ (বুধবার) নিজ নিজ জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান, বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীরা ‘কাকতাড়ুয়া দহন কর্মসূচি’ পালন করবে। এর মাধ্যমে বিএসসি শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির কবর রচনা করা হবে। মাশফিক ইসলাম আরও বলেন, মন্ত্রণালয় যে কোটার সংজ্ঞা দিয়েছে, তাতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কোনো উল্লেখ নেই। অথচ কিছু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে সারাদেশে কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে এবং অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে। এ সময় সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ করেন, ‘প্রকৌশলী আন্দোলনের’ ব্যানারে কিছু বিএসসি ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী অযৌক্তিক তিন দফার নামে মব সৃষ্টি করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে এবং প্রকাশ্যে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে।

তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে— ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, বিএসসি শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফার পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের যৌক্তিক ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করা। এর আগে, রাজধানীর বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।