পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, নিরীহ কাউকে যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয় সেই নির্দেশনা পুলিশের সব স্তরে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশ প্রধান। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মামলা মিথ্যা না, মামলা সত্যই। তবে আসামীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া এই জায়গাটা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। আইনেও এই সীমাবদ্ধতা আমাদের রয়েছে। আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, অপরাধ হয়তো করেছেন পাঁচজন কি দশজন, কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থ আদায়ের জন্য, কাউকে হয়রানি করার জন্য, ভয় দেখিয়ে ৩০০ লোকের নামে মামলা দিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানির জায়গাটা বন্ধ করতে চাই। এ জন্য আমিও অনেক সময় থানায় ফোন দিয়ে কথা বলছি। আসামী করে হয়রানি করা হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। আইজিপি বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ, আমাদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেন। তবে আমাদের কাছে যেন কোনো অন্যায় আবদার করা না হয়।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, পুলিশ এখনো ‘স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন’ গঠনের বিষয়ে অপেক্ষায় আছে। আমরা আশা করছি এটা গঠন করা হবে। সরকারকে আমরা আমাদের কথাগুলো জানাচ্ছি। বাহারুল আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল পুলিশের সংস্কার নিয়ে। রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় এই আলোচনাটি এসেছে। বলা হচ্ছে সংস্কার যখন হয় না তখন এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে একই আলোচনা এসেছে। সংস্কারের উদ্দেশ্যে সরকার পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু এই আলোচনা যখন ঐকমত্য কমিশনের গেল তখন অন্যান্য সংস্কার কমিশন গেলেও পুলিশ সংস্কারের আলোচনা আর দেখা যাচ্ছে না।