ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসন মুক্ত করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে ময়দানে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।

গতকাল সোমবার নাখালপাড়া রেল গেইটে তেজগাঁও উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাসিবুল হক নাসিফের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরে আমীর ও সিলেট-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক হেমায়েত হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও তেজগাঁও দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার নো’মান আহমদী, হাতিরঝিল অঞ্চলের টিম সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লা, থানা কর্মপরিষদ সদস্য এনামুল হক ও ইঞ্জিনিয়ার মহসিন খান। উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চল থানা সাবেক আমীর ও কাফরুল উত্তর থানা নায়েবে আমীর আলাউদ্দিন আহমেদ ও শিল্পাঞ্চল থানার সেক্রেটারি নূরউদ্দিন জাহিদ প্রমূখ।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, বিপ্লবত্তোর প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই গণহত্যাকারী বিচারের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও মহল বিশেষের হঠকারিতার কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। প্রধান উপদেষ্টা ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এর কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। কারণ, সম্প্রতি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গেজেট প্রকাশ করা হলেও একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণায় জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। কিন্তু সচেতন ছাত্র-জনতা এসব ষড়যন্ত্র কোনভাবেই মেনে নেবে না। তিনি প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে সরকারের সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করে সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোটের পর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আর অপশাসন-দুঃশাসন ও স্বৈরাচারি-ফ্যাসিবাদী শাসনে ফিরে যেতে চায় না। কারণ, তারা স্বাধীনতার পর সুশাসন ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তের নামে লুটেরাদের লুটপাট ও লাগামহীন জুলুমবাজী দেখছে। তাই তারা এখন পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ এখন আর পুরাতন প্রতীকে ভোট দিয়ে নতুন করে প্রতারিত হতে চান না। কারণ, তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, অতীতের শাসকরা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছে। তাই তারা এখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে শরীক হতে চায়। তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, দুর্নীতি ও ঘুষ করে করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে সকলকে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকার আহবান জানান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, মহল বিশেষ নিজেদের পছন্দমত লোক দিয়ে প্রশাসন সাজানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন থেকে দলবাজদের তাড়িয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে জনপ্রশাসন পুনর্গঠন করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিতে একই দিনে নয় বরং সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। তিনি আগামী দিনে আত্মমর্যাদাশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সারাদেশে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।