সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য গাজা অভিমুখে মানবিক ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযানে হামলা ও এই মানবিক বহরে নেতৃত্ব দানকারী অধিকার কর্মীধ গ্রেটাসহ ২০০ জনকে অন্যায় ভাবে আটক করেছে ইসরাইলের নৌবাহিনী। এ ঘটনায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরাম ইউটিএফ এর আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলামসহ ৪৫জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক মানবিক ত্রাণবাহী বেসামরিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজ গাজায় প্রবেশে বাঁধা বিশ্বমানবতার বিরুদ্ধে স্পষ্টত যুদ্ধ ঘোষণার শামিল এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ২০২৫ সালের আগস্টের শেষের দিকে গাজা অভিমুখে তার যাত্রা শুরু করে।৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার পর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৫০টির বেশি নৌযান রয়েছে।যেখানে ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

ফিলিস্তিনের গাজার ওপর থেকে ইসরায়েলী অবরোধ তুলে নিতে সমুদ্রপথে গাজার দিকে বিশ্বসম্প্রদায়ের ভালোবাসা সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের সর্ববৃহৎ নৌ বহর-দ্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা।

এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন আমাদের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গাজাবাসীকে ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে রক্ষার এই নৌ বহরে শহিদুল ইসলামের অংশগ্রহণ পুরো বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে , আমরা গাজাবাসীর সাথে বাংলাদেশ সবসময় ছিলাম ও আছি এপ্রত্যয়ের প্রতীক আমাদের শহিদুল আলম। আমাদের সমর্থন ও ভালোবাসা গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দিবেন। ইউটিএফ নেতৃবৃন্দ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজ অবাধে গাজায় প্রবেশ আটক অধিকার কর্মীদের মুক্তি , চিরতরে আগ্রাসন বন্ধ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কার্যকর ও সুনিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্বসম্প্রদায়কে অতি শীঘ্রই দায়িত্বশীল ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানান।

বিবৃতিকারী প্রদানকারী শিক্ষকগণ হলেন, অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মুহিব্বুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড.খোঃ লুৎফুল এলাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. কাজী মো: বরকত আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মো: শামসুজোহা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মোকতাদিউল বারী চৌধুরী, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মো. সোহাইবুর রহমান, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মো: কবীর উদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ড. এএফজি মাসুদ রেজা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ মো:রোকনুল ইসলাম, ডুয়েট, অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মোহাম্মদ ফায়সাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মো: মমতাজুর রহমান, আইইউবিএটি, ড. মো: মনজুর হোসেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, শাহ্ মো: তানভীর সিদ্দিকী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড. মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মোঃ শামিম মন্ডল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ, মো: আলমগীর কবীর রাজ্জাকী, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, কাউছার আহমেদ, গণবিশ্ববিদ্যালয়, রাশেদ মাহমুদ, পিএইচডি গবেষক, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি, মোঃ লিমন হোসেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মাহবুব আলম, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ড.শামীম হামিদী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আসাদুজ্জামান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আব্দুল বশির, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল্লাহহিল বাকী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম ছারোয়ার, নিপসম, মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মো: জামিউল ইসলাম, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, মোঃ জিল্লাল হোসাইন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ড. ইকবাল সরোয়ার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, মো: ইউসুফ আলী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দিদার মুহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, মোহাম্মদ সোহাইব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মোঃ মোমিনুর রহমান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিসবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং পীযুষ কুমার সরকার, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।