আগামী ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মাদরাসা ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ বিশেষ সুবিধা হবে মূল বেতনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।

গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মাদরাসা ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাতীয় বেতন স্কেলের তুলনীয় গ্রেড-৯ থেকে তদূর্ধ্ব গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই প্রাপ্য মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। আর গ্রেড-১০ থেকে তদনিম্ন গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই প্রাপ্য মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে (১ হাজার ৫০০ টাকার কম নয়) বিশেষ সুবিধা পাবেন।

এর আগে রোববার সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘোষিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। নিট পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৮ টাকার ঊর্ধ্বে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং তার কমের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী, বিচারপতি এবং এমপিওভুক্তদের ক্ষেত্রে পৃথক আদেশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

তার আগে গত ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতির সামনে তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। পরের দিন ৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রতিবছর তাদের মূল বেতনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ পাবেন এবং দশম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ।

কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন প্রদেয় পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। পেনশনভোগীদের জন্য ৫০০ টাকা। অর্থাৎ এখন চাকরিরতের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ২৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস করা হয়েছে।

তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন বা যাদের পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক নিয়েছেন, তারা এ সুবিধার আওতায় আসবেন না। রাজস্ব বাজেটের বাইরে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এ সুবিধার খরচ তাদের নিজস্ব বাজেট থেকেই বহন করতে হবে।