ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির মান দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে নার্সিং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং ৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে কাকরাইলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। ফলে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি সড়ক দুপুর থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ। ব্যস্ততম দুই সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। এছাড়া দুপুরের পর ঢাকার আকাশ ভেঙে নামা বৃষ্টি যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে নগরবাসীকে।

গতকাল বুধবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা। প্রায় একই সময়ে কাকরাইল মোড় অবরোধ করে সড়কে অবস্থান নেন জবি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ ও কাকরাইল মোড় অবরোধের কারণে মৎস্য ভবন, গুলিস্তান, পল্টন, সায়েন্সল্যাব, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিকেলে অফিস শেষে বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ বাড়ায় বাসায় ফেরার পথে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। এসময় দীর্ঘক্ষণ সড়কে আটকে থাকতে দেখা যায় গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত যানবাহনগুলোকে। গণপরিবহনের যাত্রীদের অনেককে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতেও দেখা যায়। মিডলাইন বাসের সহকারী ইমরুল কায়েস মিয়া বলেন, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে হাইকোর্টের মোড়ে একই জায়গায় বসে আছি। কোনো গাড়ি সামনে এগোচ্ছে না। সব গাড়ি এক জায়গায় থেমে গেছে। মোটরসাইকেল আরোহী হামিদুল ইসলাম জানান, মতিঝিল থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসতেই সময় লেগেছে ৪৫ মিনিট। যেখানে অন্যসময় লাগে ১৫ মিনিটেরও কম। সাধারণ মানুষ এ ভোগান্তির অবসান চায়।

পুলিশের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সিএনজি অটোরিকশাচালক শামীম ইসলাম বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলনে রাস্তা বন্ধ থাকছে। আমাদের মতো মানুষ যারা দিন আনি দিন খাই তাদের তাহলে কী অবস্থা হয়, একটু ভাবেন। আন্দোলনে রাস্তা বন্ধ থাকায় ইনকামও কমে গেছে। পুলিশের উচিত এসব আন্দোলন বন্ধ করে রাস্তা স্বাভাবিক রাখা। এ বিষয়ে ট্রাফিক-রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ব্যস্ততম দুই পয়েন্ট শাহবাগ ও কাকরাইলে তিন-চার ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাদের বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু তারা কেউ সড়ক ছাড়ছেন না। আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রেখেছি।