চরমপন্থা এবং রাষ্ট্রবহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কাজ করতে দেওয়া হবে না। গত শুক্রবার ২১তম মানামা সংলাপে ‘অরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং প্রভাব: আঞ্চলিক এবং বহুজাতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ইইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটোসহ বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সারোয়ার এবং মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) মো. হুমায়ুন কবির উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
সংলাপে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, শক্তিশালী সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর আর্থিক তদারকি বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তিগুলো সীমান্ত, অবৈধ বাণিজ্য, স্থানচ্যুতি এবং ডিজিটাল স্থানগুলোকে ব্যবহার করে উগ্রপন্থি এজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যায়।
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১৩ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে যারা মিয়ানমারের সামরিক এবং অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে শোষণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
