ফ্যাসীবাদমুক্ত নতুন পরিবেশে এবারের ঈদ আগের তুলনায় আনন্দঘন ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সাভারে মামুন কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, অধ্যক্ষ মোঃ তৌহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ মোঃ লুৎফর রহমান, জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, সাভার পৌর আমীর আজিজুর রহমান ও সাভার থানা আমীর আব্দুল কাদের প্রমুখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু দুঃজনক হলেও সত্য যে, প্রায় ১৬ বছর স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী আমলে পবিত্র মাহে রমযানের সিয়াম ও কিয়াম পালন মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক ও ইতিবাচক হয়নি। কারণ, রমযান মাস আসার আগেই সরকারের সহায়তায় একশ্রেণির ব্যবসায়ি ও সিন্ডিকেট কৃত্রিমভাবে বাজারে মূল্যস্ফীতি ঘটাতো। ফলে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের জন্য সিয়াম ও কিয়াম পালন সহজসাধ্য হতো না। এমনকি ঈদের সময়ও একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতো। কিন্তু এবার সে অবস্থার কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। বাজার অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রিত ছিলো। ঈদের চাঁদাবাজী ও পরিবহণ সমস্যা অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে। তাই এবারের রমযান ও ঈদ ছিলো আগের তুলনায় উৎসব মুখর। তিনি রমযানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে আত্মগঠনে মনোনিবেশ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর আনন্দঘন ঈদের রেশ কাটতে না কাটতেই ইসরাইলী দখলদার বাহিনী নতুন করে গাজায় নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যা শুরু করেছে। যা ইতিহাসের সকল নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। মূলত, জায়নবাদীরা পুরো গাজা নগরীকে ধ্বংস স্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারই দখলদার বাহিনীর উম্মত্ততা মোকাবেলায় মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি গাজায় হামলা বন্ধে জাতিসংঘ ও ওআইসি সহ বিশ^ সংস্থাগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। অন্যথায় বিশ^ সভ্যতায় হুমকীর মুখোমুখি হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।