জাপানের কাছে আরও অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স বা বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) লোন সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া কৌশলগত অংশীদারত্বের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করবে উভয় দেশ। জাপানের কাছে বাজেট সহায়তাও চেয়েছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা, অর্থনীতি, দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংস্কৃতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে দুই দেশ আরও নিবিড় করতে চায়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-জাপান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের (এফওসি) বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন জাপান সফরের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ঢাকা ও টোকিও পৃথক পৃথক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছে। এফওসি বৈঠকে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম এবং টোকিওর পক্ষে জাপানের সিনিয়র ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আকাহরি তাকিশি নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফরের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকের বিষয়ে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ আরও বেশি ওডিএ রেয়াতি লোন ও এর পরিশোধের সময়কাল বাড়ানো এবং বাজেট সহায়তার জন্য জাপানের সহায়তা চেয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে জাপানের পক্ষ বলেছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) দ্রুত তাদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জাপান তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। বৈঠকে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভসের (বিগ-বি) অধীনের পক্ষ বলেছে যে, উচ্চমানের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিশ্চিতের জন্য জাপান ও বাংলাদেশের সাথে আরও জোরালোভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বিগ-বি উদ্যোগের নতুন পরিকল্পনার আওতায় জাপান এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন দেখতে চায়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৯-৩০ মে জাপানের টোকিওতে নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।