বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মুহাম্মাদ ইসহাক দার। গতকাল রোববার বেলা ২টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আমীরে জামায়াতের বাসভবনে তিনি সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মি. তারিক বাযওয়া, পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়া ও সার্ক) মি. ইলিয়াস মেহমুদ নিজামী, ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের হাইকমিশনার মি. ইমরান হায়দার, ডেপুটি হাইকমিশনার মি. মুহাম্মাদ ওয়াসিফ এবং পলিটিক্যাল কাউন্সেল মি. কামরান দাঙ্গল প্রমুখ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

সাক্ষাৎকালে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব ইসহাক দার আমীরে জামায়াতের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। আমীরে জামায়াত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকটি আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেন।

এ সময় তিনি বলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ ইসহাক দারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আমীরে জামায়াতের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তারা আমীরে জামায়াতের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমীরে জামায়াত প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলেছেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে যেভাবে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে তিনি এর নিন্দা জানিয়েছে। সফররত পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন।

আমীরে জামায়াত বলেছেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য নেতৃত্ব খুব প্রয়োজন। সমন্বিত নেতৃত্ব যেন তৈরি হতে পারে তিনি এ ব্যাপারে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যৌথ বডি তৈরি হতে পারে, যারা সম্ভবতা নিয়ে কাজ করবে।