নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস সরকারের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট কেমন হবে, এ নিয়ে নানা মহলে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে প্রাক-বাজেট নিয়ে প্রস্তাবনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় নতুন বাজেটে অগ্রাধিকার পাচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।

সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২০২৬) জন্য জাতীয় বাজেট প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বর্তমানে যেহেতু জাতীয় সংসদ কার্যকর নেই, তাই আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কাছে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নানা কারণেই ভিন্নতর হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক সরকারের আমলে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা থাকে। সেখানে দলীয় নেতাদের তোষণ করার জন্য এমন কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, বাস্তবে যার কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। আবার সামরিক শাসনামলে মহলবিশেষকে খুশি করার জন্য বাজেটে নানা আয়োজন থাকে। কিন্তু এবারের সরকারের চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে একটি সুষম বাজেট প্রণয়ন করবে এমন প্রত্যাশা সব মহলের।

জানা গেছে, আর্থিক খাত সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা উদ্যোগ আশার আলো দেখালেও কোনোভাবেই যেন বাগে আসছে না লাগামহীন মূল্যস্ফীতি। তাই আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ হলেই তৃপ্ত থাকতে চান নীতি নির্ধারকরা। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশী বাজেট হতে পারে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে। এমন লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হতে পারে সাড়ে ৫ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, বাজেট যেন গতানুগতিক রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটির টাকার বাজেট হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এটি সত্যি হলে সরকার ইনক্রিমেন্টাল বাজেটের দিকেই এগোবে। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প নেয়ার সুযোগ নেই এখন। তাই বাস্তবতার নিরিখে যৌক্তিক প্রকল্প নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে একটি যথার্থ বাজেট দিতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, আর্থিক খাতে নানা ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। পাশাপাশি নানা রকম চাপও রয়েছে অর্থনীতিতে। ফলে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৮ লাখ কোটি টাকার ওপরে রাখা ঠিক হবে না। বাজেটে ব্যয়ের আকার না বাড়িয়ে বরং কীভাবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো যায় ও মূল্যস্ফীতি কমানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই বেশি অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া গুরুত্ব পাবে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর স্বার্থ। এর অংশ হিসেবে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেটের আয়-ব্যয়ের খসড়া রূপরেখা সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে তুলে ধরেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলো দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতি বেগবান করার পদক্ষেপ বিশেষভাবে উল্লেখ করে তাদের প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দিযেছে। এসব প্রতিবেদনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈষম্য কমানো, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সংস্কার, পদক্ষেপ ও কর্মকাণ্ডের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি ‘উন্নয়ন ও বিশ্বায়ন: দৃশ্যপট আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ’ বইয়ের উন্মোচন অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে হয়তো তেমন পরিবর্তন হবে না। কিন্তু আগামী বাজেটে ব্যাপক পরিবর্তন টের পাওয়া যাবে। তবে কী পরিবর্তন আসছে, তা বিস্তারিত বলেননি।

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার একটি অনুষ্ঠানে বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিক কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার নতুন বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন। উচ্চ শুল্কের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না, রপ্তানি পণ্যেও বৈচিত্র্য নেই। তিনি আরও বলেন, এনবিআর এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার সংস্কার না করলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি থমকে দাঁড়াবে।

জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট তৈরী করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল। আগামী অর্থবছর (২০২৫-২৬) শেষে গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ছয় শতাংশ নামিয়ে আনতে চায় সরকার। তাই সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি ব্যয়ে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে না। খুব প্রয়োজন না পড়লে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ রাখা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্ক-কর হ্রাস অব্যাহত রাখা হবে। একই সঙ্গে পণ্য সরবরাহ চেইনের সকল স্তরের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।

আগামী বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগী বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রায় ১০টি ভাতা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। হিজড়া, বেদে, চা শ্রমিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভাতা দিচ্ছে সরকার। তাদের ভাতাও বাড়তে পারে। একই সঙ্গে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচি ও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে কয়েক দফা ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় আউশ এবং আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৩ লাখ টন কম হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যশস্যের সরকারি মজুতও গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ কম ছিল। তাই মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চলতি অর্থবছর ৯ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ২১ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামী বাজেটেও এ খাতে বাড়তি বরাদ্দ অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মূলত ওএমএস, টিসিবি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সারা বছর চলমান রাখার লক্ষ্যে বর্ধিত হারে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী বাজেটে এসব খাতে বাড়তি বরাদ্দ রাখা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সার্বিকভাবে কর্মসংস্থানে ধীরগতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আগামী বাজেটে কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়ে থাকছে বিশেষ নজর। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা ৮ লাখ কোটি টাকার নিচে বাজেট দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাজেটের আকার কিছুটা বড় করা হচ্ছে। কারণ সরকারি ব্যয় বেশি সংকুচিত করে ফেললে কর্মসংস্থান বাড়বে না। একই সঙ্গে সরকার ব্যয় মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ কম নেওয়া হবে। যাতে করে উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে কোনো সমস্যা না হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ্ চৌধুরী দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, বিগত সরকারের নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। এ বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী অর্থবছরের জন্য বিশাল অঙ্কের বাজেট প্রণয়ন সম্ভব হবে না। বরং বাজেটকে যতটা সম্ভব যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মতভাবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে বলে আমি মনে করি। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটের আকার বাড়ানো হলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আগামী বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরোপিত ট্যাক্সের হার কমিয়ে ট্যাক্স নেটওয়ার্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আর এনবিআরকে সুশাসনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বাজেটে শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাত নিয়ে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা খাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা আগামী বাজেটে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় বরাদ্দ আছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, আগামী অর্থবছরে এটা সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। বেতন-ভাতা বাবদ বর্তমান বছরের বাজেটে বরাদ্দ আছে ৮২ হাজার কোটি টাকা, যা আগামী বছর ৯০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হতে পারে। বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ চলতি অর্থবছরে পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য এ খাতে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। মূল্যস্ফীতির হার চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। আগামী অর্থবছরের জন্য এটা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। অবশ্য তারপরও মূল্যস্ফীতি প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের চাপ রয়েছে।

বাজেটে মূল গুরুত্ব কোথায় দেওয়া উচিত জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে এখন বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে অ্যাড্রেস করা যায় সেগুলোর বিষয়ে বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে। এর মধ্যে প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি। আরেকটা চ্যালেঞ্জ হলো বিনিয়োগ। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধন করে সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকায় সীমিত রাখা হচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা পরবর্তীকালে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছিল। একটি সূত্রমতে, আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২০২৬) বাজেটের আকার হতে পারে ৮ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা।