আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে গুম-খুনে জড়িত শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় স্বস্তি ফিরেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মাঝে। স্বজনহারা ব্যক্তিরা এতদিন বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। ভিন্ন মত দমনের উদ্দেশ্যে শত শত মানুষকে গুম করে নেয়ার পরও এতদিন অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। গত বছর পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সরকারের কতিপয় মন্ত্রী-এমপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা পালিয়ে গেলেও এখনো দেশে আছেন গুম খুনে জড়িত থাকা অনেক কর্মকর্তা। রয়েছেন ইন্ধনদাতা এবং এতে সহায়তা করা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী দলগুলোর নেতারা। সরাসরি গুমে জড়িত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা এখনো বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। তাদের বিচার কাজ শুরু হওয়ায় সšুÍষ্ট প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা চিহ্নিত এই অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

ভিন্নমতের কারণে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরে শত শত মানুষ গুমের শিকার হন। রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, আলেম, লেখক ও সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে গোপন বন্দিশালায় আটকে রেখে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হতো। গুমের শিকার অসংখ্য নিরীহ মানুষের এখনো খোঁজ মেলেনি। চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কাউকে হত্যা করে লাশও গুম করে ফেলা হয় তখন। এমনকি অনেকের লাশের হদিসও পাননি স্বজনরা। শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে ভিন্নমত-পথ ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের তুলে নেওয়ার কাজটি করত তার বিভিন্ন বাহিনী। গুম হওয়া মানুষগুলোকে রাখা হতো আয়নাঘর হিসাবে পরিচিত গোপন বন্দিশালায়। সেখানেই চালানো হতো নৃশংসতা। বন্দিদের নিজের নামে ডাকা হতো না। ছিল আলাদা কোড নেম। আর বিশেষ বন্দিদের নাম ছিল ‘মোনালিসা’। আয়নাঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’। গুমের শিকার ব্যক্তির হাত কেটে ফেলা হতো। নখ উপড়ে ফেলা হতো। ঘূর্ণায়মান চেয়ারে বসিয়ে বা ইলেকট্রিক শক দিয়ে ভয়ংকর রকমের সব নির্যাতন করা হতো। এমনই আরও অসংখ্য বীভৎস ঘটনার বর্ণনা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্তে।

গত বুধবার প্রসিকিউশন পৃথক দুই মামলার আনুষ্ঠানিক চার্জ (অভিযোগপত্র) দাখিল করে ট্রাইব্যুনালে। পরে শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক প্যানেল। প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের মাঝে বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক। আসামিদের বিরুদ্ধে জেআইসি তথা আয়নাঘর এবং টিএফআই তথা র‌্যাবের আয়নাঘরের মাধ্যমে মোট ৩৪টি গুমের ঘটনা সংঘটনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে ।

টিএফআই সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি জেআইসিতে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরো পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত আসামিদের সরকারি কোনো পদে চাকরিরত থাকার সুযোগ নেই। দুটি মামলার মধ্যে জেআইসিভুক্ত ১৩ আসামি হলেনÑক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদীন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।

অপরদিকে টিএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ১৭ অভিযুক্তের মধ্যে শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক ছাড়া অন্য আসামিরা হলেনÑসাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কেএম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুব আলম ও কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনের শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হুসাইন তামিম। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেনÑজামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের ছেলে গুমের শিকার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, মরহুম বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান, মাইকেল চাকমা প্রমুখ।

এদিকে গুম-অপহরণ মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু হওয়ায় সরকারের ১৩ দপ্তরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গুম-অপহরণ করে আটক, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ আসামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই পরোয়ানার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর ১২টি দপ্তরে। আইজিপি ছাড়া যে ১২টি দপ্তরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো-চিফ অব আর্মি স্টাফ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস), আর্মি হেড কোয়ার্টার্সের অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, ডিজিএফআইয়ের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পার্সোনেল সার্ভিসেস ডিরেক্টরেটের পরিচালক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি সিকিউরিটিজ ইউনিটের কমান্ড্যান্ট, প্রভোস্ট মার্শাল ও আর্মি এমপি ইউনিট ফর ইনফরমেশনের সিও। গুমের মামলার প্রথম প্রতিবেদন দাখিল উপলক্ষে বুধবার ট্রাইব্যুনাল উপস্থিত ছিলেন হাসিনা সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী, ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম (আরমান), হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক ও মাইকেল চাকমাসহ কয়েকজন।

এসময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, বিনা অপরাধে ডিজিএফআই আমাকে প্রায় আট বছর বন্দি করে রেখেছিল। সব জুলুমের বিচার চাই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধামন্ত্রীসহ যারা জড়িত ছিল, তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ব্যারিস্টার আরমান বলেন, আমি আট বছর অন্ধকার ঘরে বন্দি ছিলাম। তখন মনে হতো সংবিধান, মানবাধিকার, আইনের শাসনÑএসব কোথায়। গত ১৬ বছর সংবিধানের ধারাগুলো শুধু কাগজের ওপর কালি ছিল। আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আজ এখানে আমার পরিবারকে নিয়ে এসেছি। একটি বিষয় জানা দরকার, গুম হয়তো আমাদের করা হয়েছে কিন্তু ভোগান্তির শিকার হয়েছে আমাদের পরিবারগুলো। সাত মাস গুম ছিলাম কিন্তু বিশ্বাস ছিল একদিন বাংলার মাটিতে এর বিচার পাব। অপরাধীদের অনেকে পালিয়ে গেছে, অনেকে দেশে আছে। যারা দেশে আছে, আশা করছি শিগগির তাদের আটক করা হবে। যারা পালিয়ে গেছে, তারা যেখানে থাকুক খুঁজে বের করা হবে।

মাইকেল চাকমা বলেন, যারা আইনবহির্ভূতভাবে আমাকে সাড়ে পাঁচ বছর গুম করে রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে মামলা দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার পাব। আর যেন বাংলাদেশে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা না ঘটে। যারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, তারা যেন এ বিচার দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করে।

গুম মামলার আনুষ্ঠাকি বিচার কাজ শুরু এবং আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাদেরকে অতিসত্বর গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়তায় আনতে হবে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে। আমরা আশা করি, সেনানেতৃত্ব এ বিষয়ে সরকার ও ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ইগো বা মর্যাদার প্রশ্ন নয়। এটি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা লিখেন নাহিদ। নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই–আগস্টের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর সাহসী সদস্যরা, বিশেষত তরুণ অফিসার ও সৈনিকরা জনগণের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নতুন দেশগঠন, সংস্কার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এখনো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই পথচলায় সংস্কার ও ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার বাইরে নয়।

গুমের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বিএনপি নেতা সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমের ছেলে আবু সাইদ চৌধুরী হিমু গতকাল শুক্রবার দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, আমার বাবা ছিলেন সাংগঠনিকভাবে একজন দক্ষ নেতা। তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুর দিকেই তাদের অন্যায়-অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ আতঙ্কে ছিল। বিএনপিতে সক্রিয় থাকার কারণেই আমার বাবাকে গুম করা হয়। হিমু বলেন, হয়তো আমার বাবকে আর ফিরে পাবো না, কিন্তু আমরা বিচার চাই। আমার বাবাকে গুম করার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার দ্রুত করা হোক, এটাই এই সরকারের কাছে দাবি। গুমের শিকার আরও কয়েকটি পরিবারের সদস্য বলেন-আমরা এতদিন ভেবেছিলাম হয়তো রাঘব-বোয়ালরা ধরা পড়বে না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি, যত বড় কর্মকর্তাই হোক, যরা গুম, অপহরণ করে বছরের পর বছর আয়না ঘরে রেখে নির্মম নির্যাতন, নৃশংসভাবে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে তারা যেনো কোনোভাবে পার না পায়। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতেই হবে।