রাজধানী ঢাকায় ছোটবড় ভবনের সংখ্যা কতো, তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান আজও তৈরি করা হয়নি। বছরের পুরো সময়জুড়েই ভবন নির্মাণের কাজ চলে ঢাকার আনাচে কানাচে। ফলে সঠিক হিসাব নিকাশ অনুমোদনকারী সংস্থার কাছেও থাকেনা। রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ-রাজউক তার ১৫২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ভবন নির্মানের অনুমোদন দিয়ে থাকে। এছাড়া, রাজধানীর ভেতরে ক্যান্টমমেন্ট বোর্ড, বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাও ভবন নির্মানের অনুমোদন দিয়ে থাকে। রাজউকের ধারনা মতে, ঢাকায় ভবন রয়েছে ২১ লাখ ৪৬ হাজারের মতো। তার মধ্যে ৮০ ভাগ ভবনই অনুমোদনহীন বলছে সংস্থাটি।
এদিকে, রাজউক তার আওতাধীন এলাকায় নির্মিত ভবনগুলো নিয়ে জরীপ শুরু করছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করে অনুমোদনহীন ভবনগুলো চিহিৃত করা হবে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, কম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও ঝুঁকিপূর্ণ নয়- এমন ভবনের তালিকা করা হবে। তালিকা ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারনের নির্দেশ দেয়া হবে। নির্দেশ মানা না হলে রাজউক অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে ফেলবে। এই ভাঙ্গার যাবতীয় খরচ ভবন মালিককে বহন করতে হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) মো: মনিরুল হক গতকাল রোববার দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, আমরা তিন শ্রেণীতে রাজধানীর ভবনগুলোকে চিহিৃত করার কাজ করছি। অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সমন্বিত ও সঠিক একটি তালিকা প্রনয়ন করা হবে। তালিকা তৈরির কাজ শেষে রাজউকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) এর সাবেক প্রকল্প পরিচালক মো: আশরাফুল ইসলাম গতকাল দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ভবনের প্রকৃত সংখ্যা কত, তার সঠিক তথ্য নেই কারও কাছে। তবে ২০২২ সালে গেজেটভুক্ত হওয়া ড্যাপ জরিপের তথ্যমতে, রাজউক এলাকায় প্রায় ২১ লাখ ৪৬ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে দোতলার ওপরে ভবন আছে সাড়ে ৫ লাখ, একতলার ওপরে ভবন আছে ১৫ লাখের মতো, ১০ তলার ওপরে ভবন আছে ২ হাজার। সবমিলে ৮০ ভাগ ভবনের অনুমোদন নেই। সে হিসেবে বিদ্যমান ভবনের মধ্যে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৮ শত ভবনের অনুমোদন নেই। পাশাপাশি ১৬ লাখের বেশি সেমিপাকা ভবনও অবৈধ।
রাজউক’র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর রাজউক থেকে গড়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমতি নেওয়ার পরের তিন বছর এই নকশার মেয়াদ থাকে। প্রতিবছর অনুমোদিত নকশার ৮০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়। সে হিসেবে গত ১৬ বছরে রাজধানীতে অন্তত ৬৪ হাজার ভবন নির্মিত হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নগর পরিকল্পনাবিদদের অভিমত-অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা অবৈধ ভবনগুলো রাজধানীর দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এসব ভবনে ভূমিকম্প, অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকছে। মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে এসব দুর্বল কাঠামোর ভবনগুলো ধসে পড়বে। অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা না রাখায় ভবনগুলো অগ্নিকা-ের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অপরিকল্পিত ও অবৈধ এসব ভবন রাজধানী ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে গড়ে তুলছে।
তাদের মতে, রাজউকের প্রধান কাজ নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করা। রাজউকের যে সক্ষমতা রয়েছে, তা দিয়ে এ দুটি কাজ যথাযথভাবে করলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। কিন্তু রাজউক থেকে সরে গিয়ে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়ে পড়েছে। প্লট, ফ্ল্যাট নির্মাণে মনোযোগী হয়েছে। রাজউকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।
ড্যাপের জরিপে দেখা যায়, ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৯৫ হাজার স্থাপনা গড়ে উঠেছে। ওই সময়ে রাজউক থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়-৪ হাজার ১৪৭টি। সে হিসাবে ওই ১০ বছরে নির্মিত স্থাপনার ৯৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ অবৈধ। যদিও পরের সময়ে অনুমোদিত ভবনের সংখ্যা আরও বেড়েছে। বর্তমান সময়ের অবৈধ ভবন অনুমোদিত ভবনের চেয়ে কিছুটা বেশি।
সুত্র জানায়, রাজউকের আওতাধীন এলাকা ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৩০৫ বর্গকিলোমিটার, সাভার উপজেলা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ, ভুলতা, গাউছিয়া। গাজীপুরের অংশবিশেষ রাজউকের আওতায় ছিল; সম্প্রতি তা গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (গাউক) আওতায় পড়েছে।
রাজউক সূত্র বলছে, ঢাকার দুই সিটির ৮০ ভাগ ভবন অনুমোদন নিয়েই নির্মাণ করছে। আর ২০ ভাগ ভবন নির্মাণ অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটির বাইরের এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ ভবনই অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। নতুন করে চাপাচাপি শুরু হওয়ায় ১০ ভাগ ভবন অনুমোদন প্রক্রিয়ার আওতায় এসেছে।
রাজউক সূত্র আরও বলছে, দুই সিটির ভেতর যেসব স্থানে অবৈধ ভবন রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-ডেমরা, বসিলা, ঢাকা উদ্যান, কামরাঙ্গীরচর, সারুলিয়া, নাসিরাবাদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান, হরিরামপুর, ভাটারা, বাড্ডা, পুরান ঢাকা সরু সড়ক এলাকা। আর ঢাকার দুই সিটির বাইরে সাভার, কেরানীগঞ্জ, ভুলতা, গাউছিয়া ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় শত শত ভবন অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। রাজউকের কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই হাউজিং প্রকল্পের নামে কেরানীগঞ্জে অর্ধশত আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। সেখানে এখন বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। মডেল কেরানীগঞ্জের-ঘাটারচর এলাকার লেকসিটিতে প্রায় ৩০টি ১০ তলার বেশি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ফ্ল্যাট বিক্রিও চলছে দেদার। কোনো ধরনের সক্ষমতা না থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভবনের অনুমোদনপত্র দেখিয়ে ব্যাংক ঋণও পাচ্ছেন। হাউজিং প্রকল্প হিসেবে দেখিয়ে উঁচু দামে প্লট বিক্রি করছে। এসব দেখেও ‘নীরব দর্শক’-এর ভূমিকায় রয়েছে রাজউক।
জানা গেছে, রাজউক এলাকায় পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিতে পারে না। এরপরও সাভার, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেসব সংস্থাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত নতুন করে আর কোনো ভবনের অনুমোদন তারা দিচ্ছে না বলে রাজউক জেনেছে। তারপরও রাজউকের অনুমোদন ছাড়া কেউ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে; মামলা দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, অবৈধ ভবন নগরের ঝুঁকি তৈরি করছে। বিভিন্ন সময়ে রাজউক এলাকায় অবৈধ ভবন গড়ে উঠেছে। সেসব চাইলে ভেঙেও ফেলা যাচ্ছে না; এজন্য দৃষ্টান্তমূলক জরিমানায় বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের চিন্তাভাবনা চলছে। সেটা হলেও অবৈধ ভবনগুলো রাজউকের আওতায় আসবে। তখন নতুন করে অন্যরা অবৈধ ভবন তৈরির সাহস দেখাবে না। তিনি জানান, রাজউকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএমডিসি) মেনে ভবন নির্মান করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই বাছাই করা হবে। ভূমিকম্প’র প্রবণতা বাড়ার কারনে এখন আমাদের উচিত হবে ৬ তলার ওপরে ভবন আছে এমন ভবনগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা। যাতে করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহিৃত করা যায়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে লাল চিহিৃত করে দেয়া হবে। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে হলুদ আর ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন ভবনগুলোকে সবুজ চিহিৃত করে দেয়া হবে। রাজউক এলাকাজুড়েই এখন এই কাজগুলো করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, দেরী করা যাবেনা। জরীপ করেই ভবনগুলোকে চিহিৃত করে রঙ ভেদে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নানা কারনেই প্রতি বছর রাজধানীতে বাড়ছে অনুমোদনহীন ভবনের সংখ্যা। রাজউক আওতাধীন এলাকায় যারা অনুমোদন নিয়েছেন, এর মধ্যে ৯০ ভাগেরই নেই অকুপেন্সি বা ব্যবহারের সনদ। যার কারণে নকশার বিচ্যুতি করে গড়ে ওঠা এসব ভবনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন একরকম নিলেও সেটি মানা হচ্ছে না। এসব ভবনের বিচ্যুতি নিয়ন্ত্রণে বছরে গড়ে ৫ হাজার নোটিশ দেয় সংস্থাটি।
ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ৫৬% ভবন
ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে এমন শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ, অপ্রশস্ত সড়ক অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবই এ ঝুঁকি তৈরি করেছে। মাঝারি থেকে প্রবল মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ঢাকা শহরে যত কংক্রিটের ভবন বিদ্যমান তার ৫৬ দশমিক ২৬ শতাংশ রয়েছে ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মধ্যে। মাঝারি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ ভবন। রিখটার স্কেলে ৪ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এসব ভবন। আর তুরস্ক ও সিরিয়ায় সম্প্রতি যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে ঢাকার ৮০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জিআইএস ডাটাবেজ থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৯৩টি ভবনের তথ্য নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেছে এইচবিআরআই। বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের অর্থায়নে ‘টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট টু আপগ্রেড স্ট্রাকচারাল ইন্টেগ্রিটি অব বিল্ডিংস ইন ডেনসলি পপুলেটেড আরবান এরিয়াস অ্যান্ড ইটস স্ট্র্যাটেজিক ইমপ্লিমেন্টেশন টুওয়ার্ড রেজিলিয়েন্ট সিটিস ইন বাংলাদেশ (টিএসইউআইবি)’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এইচবিআরআইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঝুঁকিতে থাকা ৭ শতাংশ ভবন ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ৩১ শতাংশ ভবনের। অন্যদিকে প্রায় ৪০ শতাংশ ভবনের ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। যেসব ভবনের উচ্চতা বেশি, সেগুলো রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
বড় ধরনের ভূমিকম্পে ধসে পড়ার উচ্চঝুঁকি রয়েছে, এমন ভবনের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। এসব ভবনকে ‘ই’ ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হয়েছে এইচবিআরআইয়ের গবেষণায়। ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ধসে পড়ার মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ ভবন। ক্ষতি হলেও ধসে পড়বে না এমন ভবনকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৮টি ওয়ার্ডে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ‘খুব উচ্চঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে ১, ৩, ৭, ১২, ১৪, ২২, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। আর ‘উচ্চঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে ২, ৫, ১১, ১৩, ১৬, ১৮, ১৯, ২১, ২৩, ২৫, ২৬ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। একইভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ‘খুব উচ্চঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে ১, ১২, ১৩, ১৬, ১৭, ২৩, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। আর ‘উচ্চঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১৫, ১৯, ২৭, ৩৯, ৪৫, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড।