# জাতীয় ঐক্যের আহ্বান রাজনৈতিক নেতাদের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অংশীজন সংলাপে দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বাস্তুচ্যুতি থামাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এর মধ্যে রয়েছেÑরোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রণয়ন, দাতাদের অব্যাহত সমর্থন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও আরাকান আর্মির কাছে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও জীবিকা নিশ্চিত করণ, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপ ও অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা, গণহত্যার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক আদালতে জবাবদিহিতা ত্বরান্বিত করা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্মভূমির সাথে তাদের নাড়ির সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। এখন আর কেবল বক্তব্যে সীমাবদ্ধ থাকা যাবে না। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখনই। এছাড়া তিনি দাতাদের ও মানবিক অংশীদারদের অব্যাহত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছে আবেদন জানাই যাতে তারা তাদের অঙ্গীকার বাড়ায় এবং ২০২৫-২৬ সালের যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার তহবিল ঘাটতি পূরণ করে। একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও আরাকান আর্মিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও জীবিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাকে অপরিহার্য উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আসিয়ান ও প্রতিবেশী দেশগুলিকে আরও সক্রিয়ভাবে রাখাইন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে মানবপাচার, মাদক চোরাচালান ও ক্ষুদ্র অস্ত্রের অবৈধ ব্যবসার মতো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনেও উদ্যোগী হতে হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা এবং এর টেকসই সমাধানকে বৈশ্বিক এজেন্ডায় রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা নিজ দেশে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। এই সংহতির চেতনায়, গত রমজান মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এবং আমি কক্সবাজারে এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে একত্রে ইফতার করেছি। আমরা স্পষ্টভাবে রোহিঙ্গাদের আকুল ইচ্ছা শুনেছিÑযত দ্রুত সম্ভব তারা তাদের ঘরে ফিরে যেতে চায়।
গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন দফা প্রস্তাব উপস্থাপনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন,আমার আহ্বানকে স্বীকৃতি জানিয়ে এ বছরের সাধারণ পরিষদে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমি আশা করি কক্সবাজারের এই সংলাপ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে যথেষ্ট অবদান রাখবে এবং রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়ক হবে’। অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে ২০১৭ সালের আগস্টের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই বর্বরোচিত আক্রমণ ও নিপীড়ন এখনও চলমান। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি বিশ্ব সম্প্রদায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি থেকে সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখ, যা কক্সবাজারকে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে পরিণত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রতিবছর প্রায় ৩২ হাজার নতুন শিশু রোহিঙ্গা শিবিরে জন্ম নিচ্ছে, অথচ মিয়ানমারে এখন পাঁচ লাখেরও কম রোহিঙ্গা রয়েছে। এটি প্রমাণ করে, চলমান নিপীড়নের কারণে তারা মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দীর্ঘ আট বছরে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেও সতর্ক করে দেন যে দেশীয় উৎস থেকে আর কোনো সম্পদ জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সংকট নিরসনে বৈশ্বিক সহযোগিতা এখন অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের সূত্রপাত মিয়ানমার থেকে। সমাধানও সেখানেই নিহিত। সকল পক্ষকে দ্রুততম সময়ে কঠিন দৃঢ়তার সাথে এই সংকটের অবসান ঘটাতে হবে। রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ইউনূস আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ তাদের পাশে রয়েছে এবং তাদের মাতৃভূমিতে দ্রুত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘চলুন আমরা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অবদান রাখার অঙ্গীকার করি, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করি। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এক বছর আগে ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞ এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর, বর্তমানে দেশ যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তিনি জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে, রোববার থেকে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সংলাপ “স্টেকহোল্ডার্স’ ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন” শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় হোটেল বে ওয়াচে সংলাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান রাজনৈতিক দলগুলোর : সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, অতীতে বিএনপি সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সফল প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করেছিল। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার সরকারের ব্যর্থতায় সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ‘মিয়ানমারের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার রোহিঙ্গাদের পাশে থাকা মানবিক ও ইসলামী দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানো কোরআনের নির্দেশ। তাই রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার ও পূর্ণ নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও দায়ীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’তিনি আরও বলেন, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গা তরুণদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচি জরুরি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, রোহিঙ্গারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আরাকানে গণহত্যার জন্য দায়ীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এর চূড়ান্ত সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।’
এবি পাটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি।’
এক্ষেত্রে সব দলের নেতারাই একমত হন যে রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং এটি একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। অধিবেশনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
সেশনটি পরিচালনা করেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম। এতে রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক, রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজু বক্তব্য রাখেন।
সংলাপে বিভিন্ন দেশের কুটনীতিক, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
কক্সবাজারে ও উখিয়া সংবাদদাতা : সংলাপে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা সরাসরি বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে তাঁদের দুর্দশা ও প্রত্যাবাসনের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন। এক তরুণ প্রতিনিধি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে আশ্রিত, কিন্তু এখানে আমাদের ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে মিয়ানমারে।” জাতিসংঘের প্রতিনিধি মন্তব্য করেন, রোহিঙ্গা সংকট এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি জানান, মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে, তবে সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আরও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা, গবেষক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং রোহিঙ্গা নেতারা এই সংলাপে অংশ নিচ্ছেন। এখানকার সুপারিশগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে, যেখানে ১৭০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সংলাপের শুরুতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রদর্শিত হয় রোহিঙ্গাদের দুর্দশা ও সংগ্রাম নিয়ে তথ্যচিত্র।
তবে স্থানীয়দের দাবি, আর আলোচনা নয়, এখন সময় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। তাদের মতে, শুধু আন্তর্জাতিক চাপ নয়, নতুন কোনো রোহিঙ্গা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে কঠোর নজরদারি জরুরি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এই সংকট দ্রুত সমাধান না হলে কক্সবাজারে সামাজিক ও নিরাপত্তাজনিত বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সম্মেলনের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিদেশি অতিথিরা উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। তারা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন, বাস্তব পরিস্থিতি দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এই অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।