ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের নিয়মিত খোজখবর নিচ্ছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার শিক্ষার্থী ফাতেমা আকতারের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। এসময় তিনি বলেছেন, নিহতের পরিবার আক্ষেপ করে যে কথাগুলো বলছে তা অত্যন্ত সত্য। কারণ আজ রাষ্ট্রের দায় অনেক। রাষ্ট্র এত সাদাসিধেভাবে চলবে কেন? তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ শিশু, যারা না ফুটতেই ঝরে গেলো। রাষ্ট্রের প্রথমে উচিত ছিল তাদের (নিহতদের) পরিবারের সঙ্গে কথা বলা। প্রধান উপদেষ্টা একটা ফোন করতে পারতেন না? এমন প্রশ্ন রাখেন সেলিমা রহমান।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, ঢাকা জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় নেতারা। এদিকে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অভিভাবক রজনী ইসলামের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। শনিবার দুপুরে তিনি উত্তরার রূপায়ণ সিটি এলাকায় নিহতের বাসায় গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি রজনী ইসলামের স্বামী জহুরুল ইসলাম, মেয়ে ঝুমঝুম (পঞ্চম শ্রেণি) ও ছেলে রুহানসহ (ষষ্ঠ শ্রেণি) শোকে স্তব্ধ পরিবারটিকে সান্ত¡না দেন।

সোহেল বলেন, আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা সীমিত। দুর্ঘটনা ঘটলেই আমরা আলোচনা করি, কিন্তু পরে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। এখনই সময় বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেওয়ার। তিনি নিহত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, রজনীর মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আল্লাহ তার সন্তানদের এবং পরিবারের সদস্যদের শোক সইবার শক্তি দিন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নজরুল ইসলাম নোমান, কোকো স্মৃতি ফুটবলের পরিচালনা পরিষদ সদস্য রাশেদ উল হক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহিরুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাফিদ সরকার নৈতিক, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহাগ মাহমুদ এবং যুব নেতা তানভীর আহমেদ।