অতিরিক্ত ভ্যাট চাপিয়ে সরকার বিস্কুট-রুটি কোম্পানিকে গরিব শোষণের হাতিয়ার বানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। রুটি-বিস্কুটের মতো সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবারে ভ্যাট বহাল রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, সরকার ধনীদের জন্য ছাড় দিলেও গরিবের খাবারে কর আরোপ করে বৈষম্যমূলক ও পশ্চাৎপদ করনীতি চালু করেছে, যা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তারা নিত্য খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার চেয়েছেন।

গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকার বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট, গবেষণা প্রতিবেদন, গণমাধ্যমের খবর এবং অর্থনীতিবিদদের মতামত উপেক্ষা করে গরিব মানুষের নিত্যখাদ্যে ভ্যাট বহাল রেখেছে। এতে রুটি বিস্কুটের প্যাকেট ছোট করতে হচ্ছে। কিন্তু প্যাকেট ছোট করার জায়গা আর নেই। এভাবে ভ্যাট চাপিয়ে দিতে থাকলে একদিন দেখা যাবে, প্যাকেট আছে, ভেতরে বিস্কুট নেই।’

শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আশা করেছিলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু সহজে আদায়যোগ্য বলে গরিব মানুষের খাবারে ভ্যাট বহাল রাখা হয়েছে, যা দৃষ্টিকটু ও লজ্জাজনক।’

অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ রেড জোনে। এ পরিস্থিতিতে গরিবকে শোষণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের পশ্চাৎপদনীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, রাজস্ব সংগ্রহ করতে হলে শিল্পের চেয়ারম্যান ও ধনী ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করুন। কিন্তু ভ্যাট কেন? সরকার বিস্কুট-রুটি কোম্পানিকে ব্যবহার করছে গরিব শোষণের হাতিয়ার হিসেবে।

বক্তারা ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানান। তারা বলেন, সরকার যদি তা না করে, তবে পণ্যের দাম বাড়াতে হবে বা প্যাকেট ছোট করতে হবে। এতে শিল্প ও ভোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সরকারও ভাবমূর্তির সংকটে পড়বে। সম্মেলনে সংগঠনের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ সরকার, কিষওয়ান ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।