মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে ছিলেন অধিকাংশ মানুষ। অনেকেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, কেউবার নাস্তার পর্ব শেষে পরিবারের জমে থাকা কিছু কাজ করছিলেন। কিন্তু সব আনন্দ উবে গিয়ে দিনভর ভর করল আতঙ্ক। সেই আতঙ্ক আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিল গতকাল শনিবার ঘটে যাওয়া দুইবারের ভূকম্পনে। শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হবার পর গতকালও দুই দফা কাঁপলো সবকিছু। মনের ভেতরে মুহূর্তেই তৈরি হলো ব্যাপক আতঙ্ক। দুলুনির সাথে সাথেই ঘরবাড়ি, দোকানপাট, শিল্প-কারখানা থেকে মানুষজন দ্রুত খোলা জায়গার দিকে ফের ছুটল। কিন্তু এভাবে আর কত? আতংক-উদ্বেগ যেন বাড়ছেই।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় দেশে তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার সকাল ও সন্ধ্যায় দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। এছাড়া গতকাল সকালে নরসিংদীতেই আরও একটি মৃদু ভূমিকম্প হয়। জেলার পলাশ উপজেলায় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এই ভূকম্পন রাজধানীসহ দেশের প্রায় জেলায় অনূভূত হয়েছে।
গতকাল ভূমিকম্পে ঢাবির হল থেকে দৌড়ে নামতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের তিন শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঢাবির শামসুন নাহার হল সংসদের জিএস জানান, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর হলের কয়েকটি ব্লকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আতঙ্কে ছুটোছুটি করার সময় তিন শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে আহত হন। ভূকম্পনের কারণে আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ভূমিকম্পের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সভায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের উপস্থিতিতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রত্যেকটি কক্ষসহ বিভিন্ন হলের পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অবিলম্বে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রবিবার সকাল থেকেই মুহসীন হল পরিদর্শনের কাজ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হলও পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন দলে হল প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, ডাকসু ও হল সংসদের প্রতিনিধিদের অর্ন্তভুক্ত করা হবে। পরিদর্শন শেষে কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। কারিগরি মূল্যায়নে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত হলে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা। শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়। তবে গতকাল দুই দফায় ভূমিকম্প হওয়ায় জনমনে আতংক-উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বিশেষ করে যারা পুরনো বিল্ডিংয়ে বাস করেন, তাদের মধ্যে আতংকটা সবচেয়ে বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূমিকম্পের বড় ধাক্কা সামলানোর সক্ষমতা রাজধানী ঢাকার নেই। ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ভূমিকম্পে ক্ষতির ঝুঁকিও বেশি। তাই বড় কোনো ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে ঢাকা। পড়তে পারে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে। তাই যত দ্রুত সম্ভব জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের অংশ হিসেবে রাজউক পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীতে ২১ লাখ ৪৫ হাজার ভবন রয়েছে। ঢাকার নিকটবর্তী মধুপুর ফল্টে (টাঙ্গাইল) ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে ঢাকা শহরের কয়েক লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, অধিকাংশ ভবন তৈরির ক্ষেত্রে জাতীয় ভবন নির্মাণ কোড অনুসরণ করা হয়নি। বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। ৯৫ ভাগ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে অনুমোদিত নকশার বাইরে। জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ ভবন চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানও পরিচালনা করছে সংস্থাটি। তাছাড়া কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই নগরীর বসিলা, ঢাকা উদ্যান ও কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় শত শত ভবন গড়ে উঠেছে।
রাজধানীর মাস্টারপ্ল্যান ড্যাপের তথ্যমতে, ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৯৫ হাজার স্থাপনা গড়ে ওঠে। ওই সময় রাজউক থেকে মাত্র ৪ হাজার ১৪৭টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেওয়া হয়। সে হিসাবে অনুমোদন ছাড়াই ৯৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানীতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
ঢাকায় ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাব্য ঝুঁকি বাড়ার পেছনে বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে রয়েছে– বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এ শহরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন, বস্তি এবং সরু রাস্তা। তাছাড়া অনেক ভবনই ভূমিকম্প সুরক্ষা মানদ- মেনে তৈরি হয়নি, যা এগুলোকে মৃত্যুফাঁদে পরিণত করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের মাটির গঠনগত দুর্বলতাও ঝুঁকির একটি বড় কারণ। দেশের বড় অংশই আলগা ও জলাবদ্ধ পলিমাটির ওপর গঠিত। শক্তিশালী কম্পনে এই মাটি তরলীকৃত হয়ে যেতে পারে, যা ভবন ধসের কারণ হতে পারে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, রাজধানীতে গড়ে ওঠা ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনীয় কি না সেটি নির্ণয়ের মতো প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি নেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। ঢাকায় অনুমোদনহীন ভবনের সঠিক সংখ্যাও জানা নেই তাদের। খাল-বিল নদী দখল করে কত ভবন হয়েছে সেই সংখ্যাও জানা নেই। ঢাকায় লাখ লাখ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এসব ভবন অপসারণ না করেই নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে ঢাকায় বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা করে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন করা দরকার। তা না হলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে দেশে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাই সব নতুন ভবন নির্মাণে নকশা ও বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে অনুসরণ করা দরকার।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পটা বড় ভূমিকম্প আসার আগে যে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়, তার অন্যতম। রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রায় যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে ৭ মাত্রার হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেড়ে যাবে, ভেঙে যাবে বহু ভবন, প্রচুর হতাহত হবে। ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এমন ভূমিকম্প হলে ঢাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ হেলালী দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, রাজধানী ও এর আশপাশের ভবনগুলো ন্যূনতম মান বজায় না রেখেই তৈরি হয়েছে, হচ্ছে। এ কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও মারাত্মক। যদিও ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করতে এরই মধ্যে মাটির গুণগতমান পরীক্ষা করে একটি রিস্ক সেনসিটিভ ল্যান্ড ইউজ প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ভূমিকম্প সহনীয় ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরীক্ষার জন্য ‘আরবান সেফটি অ্যান্ড রেজিলেন্স ইনস্টিটিউট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ভূমিকম্প বার্তা দিচ্ছে যে আমাদের এখানে বড় আকারে ভূমিকম্প আসছে। যেটা অনেক দিন ধরে আমরা বলছিলাম। কিন্তু শুক্রবারের ভূমিকম্পে এত বড় ঝাঁকুনির পর এখন ঢাকা শহরের প্রতিটা অধিবাসী অনুভব করতে পারছে বিপদ নিকটে। ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা শহরে জনসাধারণের আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও খোলা জায়গার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে মানুষ যখন হুড়োহুড়ি করে বের হয়ে একটু নিরাপদ বা খোলা জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে, তখন অধিকাংশ এলাকায় সেই খোলা জায়গা খুঁজে পাওয়া যায় না। করণীয় নিয়ে এই নগরপরিকল্পনাবিদ বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। জরুরি ভিত্তিতে কঠোরভাবে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড ও নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে। নি¤œাঞ্চলে নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা প্রকাশ ও উচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকার কাছে ফরিদপুরে গত ১৫ বছরে দুইবার ৪-এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে নথিবদ্ধ করেছে ভূমিকম্প শনাক্তকারী সংস্থা আর্থকোয়েক ট্র্যাক। গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে ঢাকার কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জে হওয়া ৫.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পকে। এ ছাড়া ১৮২২ ও ১৯১৮ সালে ঢাকার অদূরে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে।
এদিকে গত দুইদিনে অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া এই কম্পন সারা দেশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। রাজধানীর বাসিন্দারা এখন আতংকে দিনাতিপাত করছেন এই ভয়ে যে, কখন আবার ভূকম্পন শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায়ও মানুষের মাঝেও উদব্গে-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নিজেদের আতঙ্ক, অনুভূতি এবং দেশবাসীর প্রতি উদ্বেগের কথা শেয়ার করছেন। অনেকেই লিখেছেন, হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই তীব্র কম্পন আবারও মনে করিয়ে দিল-প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে মানুষ কতটাই অসহায়।
গতকালের ভূমিকম্পের পর গাবতলীর বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরাফাত শাহ বলেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পে আমার চারতলা ভবনের দেয়ালের টাইলস ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন আসবাব ভেঙে গেছে। এরপর শনিবারের দুই দফা ভূকম্পনের ফলে বাসার সবাই আতঙ্কে রয়েছি।
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘরবাড়ি ধসে এবং অন্যান্য দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর সৃষ্ট জনমনের উদ্বেগ ও আতঙ্ক সম্পর্কে সরকার সম্পূর্ণভাবে অবগত রয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন,‘জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।