গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গতকাল বুধবার বিকেলে রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে গেছে। সেখান থেকে নতুন করে গড়ার কাজ করছি আমরা। প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে তাদের লোক। তাই বেগ পেতে হচ্ছে। পুলিশকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। সে পর্যন্ত গোপালগঞ্জের মতো ঘটনার মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, গোপলগঞ্জে এনসিপির সাথে যা করা হয়েছে তা মূলত নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা। আমরা এহেন সন্ত্রাসী কর্মকা- কোনোভাবেই বরদাশত করবো না। পুলিশসহ যাদেরই এর সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রথমত এই হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবশ্যই এর দ্রুত অ্যাকশন নেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এনসিপি নয়; যে কোনো দলের ওপর যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- কোনোভাবেই বরদাশত করবো না।

তিনি বলেন, এতবড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। সারাদেশে সার্বিকভাবে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এনসিপি বেশ কয়েক জেলায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও ঘটেনি। যারাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করে নৈরাজ্য করার অপচেষ্টা চালায়। আসলে আওয়ামী লীগ এখনো প্রশাসনের সর্বস্তরে রয়ে গেছে। গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়েছে। এদের কর্মকা- স্থগিত করা হয়েছে। বিচার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা বিচার সম্পন্ন হতে দেখতে পারো।

জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদেরই বেশি প্রয়োজন। কারণ, আমরা থাকবো না। এটা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। সনদের অনেকগুলো বিষয় আছে। এ ব্যাপারে দলগুলোকে ডেকে মতামত নেয়া হয়েছে। সবার খসড়া একত্রে করে আমরা খসড়া তৈরি করার চেষ্টা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা করা হবে।