আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশায় ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত বৃহস্পতিবার এক উচ্চপর্যায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ২০২৩ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২৮ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস রচনা করে প্রথমবারের মতো আইএমও কাউন্সিলের প্রতিযোগিতাপূর্ণ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সদস্য পদ লাভ করে।
গতকাল শুক্রবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। আইএমও কাউন্সিল ৪০টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত, যা তিনটি ক্যাটাগরিতে (এ, বি ও সি) বিভক্ত। এই কাউন্সিল বৈশ্বিক সামুদ্রিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘সি’ ক্যাটাগরি নিশ্চিত করে বিশেষ সামুদ্রিক স্বার্থসম্পন্ন দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব এবং ভৌগোলিক ভারসাম্য।
আইএমও হলো জাতিসংঘের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক নৌপরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সুরক্ষা, নাবিক কল্যাণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড নির্ধারণ করেÍযা সরাসরি বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বাংলাদেশের সম্প্রসারিত নৌপরিবহণ খাত এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বন্দরগুলোর ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব তুলে ধরেন। শিপিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. শফিউল বারী একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। ডেপুটি হাইকমিশনার প্রীতি রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এই নৈশভোজে বহু দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা অংশ নেন, যা আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতাকে তুলে ধরে।