জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে একজন ‘বিদেশি নাগরিক’ বলে সম্বোধন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন খলিলুর রহমান।

গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন খলিলুর রহমান। নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, এই অভিযোগ প্রমাণের দায়ভার অভিযোগকারীর ওপর বর্তায় এবং প্রয়োজনে তা আদালতে প্রমাণ করতে হবে। আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার পূর্ণাঙ্গ অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

গত শনিবার খুলনায় এক অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ সরকার প্রধানের উদ্দেশে বলেছেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। হয় তিনি নিজে পদত্যাগ করবেন, না হলে আপনি তাকে বিদায় করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এ দেশের নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো জাতীয় দায়িত্ব বিদেশি কোনো নাগরিকের হাতে থাকতে পারে না। এই নাগরিক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য। আমরা তা হতে দেব না। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা পদমর্যাদার রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার পূর্ণাঙ্গ অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

উল্লেখ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতির ডিগ্রিধারী খলিলুর ১৯৮০-৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ও আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন। পেশাদার কূটনীতিক খলিলুর ১৯৯১ সালে জেনিভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে (আঙ্কটাড) বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘ সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী ২৫ বছরে জেনিভা ও নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি ২০০১ সালে তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন।