দফায় দফায় তালিকা হলেও ভাঙার মুরোদ নেই কারও

নোটিশ দিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে : রাজউক চেয়ারম্যান

রাজধানী ঢাকার বুক চিরে গড়ে উঠছে যতো ছোটবড় ভবন, তার অধিকাংশই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’- এমন তথ্য দিচ্ছে কোটি মানুষের শহর দেখভালকারী খোদ কতৃপক্ষই। অথচ, তাদেরই কাজ এসব ভবন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু, তা করা হয়না নানা কারনেই। অভিযোগ রয়েছে, ‘ম্যানেজ’ করেই গড়ে তোলা এসব ভবনই আজ নগরবাসীর ‘মৃত্যুফাঁদ’ কিংবা ‘মৃত্যুকূপ’। বছরের পর বছর ধরেই এই প্রক্রিয়ায় গড়ে উঠছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনের সংখ্যা। কিন্তু সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই কারও কাছে। দফায় দফায় তালিকা হয়, কিন্তু তালিকা ধরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কিংবা ‘অনুমোদনহীন’ ভবন অপসারন বা ভাঙার মুরোদ নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর।

চারশ’ বছরের পুরোনো রাজধানীতে তৈরি হচ্ছে ছোটবড় লাখ লাখ ভবন। এসব বাড়িঘর আর বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে বেশ ক’বার পরিবর্তন হয়েছে বিধিমালা। ১৯৫২ সালে তৈরি করা নিয়ম বদলে গেলেও শুধু বদলায়নি ঢাকা। বছরের পর বছর নানা ধরনের ঝুঁকি আর অগ্নিঝুঁকি নিয়েই চলছে রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল-ক্লিনিক, শপিংমল, ব্যাংক, আবাসিক হোটেল ও মিডিয়া সেন্টারের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। প্রতি বছরই ঘটছে ভবন ধসসহ অগ্নিকা-ের ঘটনা আর হচ্ছে মৃত্যু। আর এসবের জন্য রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্বল তদারকি ও সমন্বয়হীনতাকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কখনই সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা তৈরি হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সিটি করপোরেশনের তথ্যে রয়েছে বিস্তর অমিল। এমনটাই মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সংখ্যা জানাতে গিয়ে সরকারের এ সংস্থাগুলো আলাদা আলাদা পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। আর তাই ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও রয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।

জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গতকাল শনিবার দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, প্রতি বছর রাজউক থেকে গড়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমতি নেওয়ার পরের তিন বছর এই নকশার মেয়াদ থাকে। প্রতিবছর অনুমোদিত নকশার ৮০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়। সে হিসেবে গত ১৬ বছরে রাজধানীতে অন্তত ৬৪ হাজার ভবন নির্মিত হয়েছে। তিনি জানান, এর আগেও নির্মিত হয়েছে অগনিত ছোটবড় ভবন।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, রাজউক, দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত, ফায়ার সার্ভিস এবং সিটি করপোরেশন যেভাবে ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করছে বা করতে চায়, তা আসলে কোনো কাজে আসছে না। ত্রুটিপূর্ণ তালিকা আর হয়না, অথচ, কাজটি করা দরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।

এদিকে, রাজধানীতে শুক্রবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনসমূহের প্রকৃত অবস্থা যাচাই‘র জন্য পুরান ঢাকার আরমানিটোলা, মুগদা ও বাড্ডার আলাতুন্নেসা স্কুল ও কলেজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম গতকাল শনিবার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহিৃত করে একটি তালিকা তৈরীর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই ভূমিকম্প আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল। এর থেকে সতর্ক না হলে আমাদের জন্য বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনসমূহের তালিকা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করে সিলগালা/ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ও কিছুক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণ ও করা হচ্ছে। আমরা সকলে সচেতন না হলে আমরা অদূর ভবিষ্যতে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হব।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব জানান, ঢাকায় ৭২ হাজার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সভায় জানান, ২০০৪ সালে পুরান ঢাকায় ভবন ধসে ১৭ জনের মৃত্যুর পর অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের করা জরিপে রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পাঁচশর মতো ভবন চিহ্নিত করা হয়।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালে তালিকাটি হালনাগাদ করা হয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ৩২১টি। আবার বিধিবিধান লঙ্ঘন করে নির্মিত ভবন রয়েছে পাঁচ হাজার। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১টি ভবনের বেশিরভাগই রয়েছে পুরান ঢাকায়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির ২০১৯ জানুয়ারির বৈঠকে ত্রুটিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবন দ্রুত অপসারণের উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশের আলোকে ৯০৬ ভবনকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে রাজউক। তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ২৫ জুন ২০১৯ সালে পরিবেশবান্ধব আবাসিক এলাকা তৈরি করতে রাজধানী ঢাকার অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছিলেন। তখন ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ১৮১৮টি ভবন তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তখন তালিকা হালনাগাদ করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর প্রায় চার লাখ ভবনের ওপর জরিপ করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি তখন।

বহুতল ভবন হয়ে উঠছে মৃত্যুকূপ

রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জীবনের ঝুঁকি ও শঙ্কা নিয়েই দিন যাপন করছে অযুত নিযুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বাসিন্দারা। কিছু কিছু স্থানে পরিত্যাক্ত ঘোষণার পরও অজ্ঞাত কারণে ভাঙা হচ্ছে না ভবনগুলো। এসব ভবন ভাঙার নির্দেশ প্রদান করা হলেও দায়িত্বপ্রাপ্তদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে এসব নির্দেশ বাস্তাবায়ন হয়নি। পরিত্যাক্ত ঘোষিত মার্কেট ও ভবনগুলোর সংস্কার ও পুনর্নিমাণ না করায় এর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার ব্যাপারে তালিকা তৈরির পর প্রথমদিকে খুব দ্রুত বাস্তবায়নের কথা থাকলেও পেরিয়ে যায় দিনের পর বছর। ঝিমিয়ে পড়ে ভবন সংস্কার ও ভাঙার কাজ। কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশের পরও এসব ভবন না ভাঙ্গার ফলে ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড সহ যে কোন বড় দুর্যোগে প্রাণঘাতি সহ বড় ধরনের দূর্ঘটনার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) ও জাইকার যৌথ জরিপে জানা গেছে, ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হলে শহরের ৭২ হাজার ভবন ভেঙে পড়বে। ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৈরি হবে সাত কোটি টন কনক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আক্তার সম্প্রতি জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতি ১০০ বছর পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। সবশেষ ১৮২২ ও ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। সে হিসাবে আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে রাজধানীর ৩ হাজার ৭৮৬টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ১ হাজার ৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, ২ হাজার ৫৮৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং মাত্র ১২৯টি সন্তোষজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে এক মাসের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হলেও কোনো প্রতিষ্ঠানই তাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করেনি। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস গত ২০১৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বর এই দুই মাস আবারও ৩ হাজার ৭৩৪টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে। যার ফল আবারও ১ হাজার ৬৬ প্রতিষ্ঠান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, ২ হাজার ৫৮৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং মাত্র ৮৫টি সন্তোষজনক।

তালিকা হলেও ব্যবস্থা নেই

রাজধানীজুড়ে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকা ছোট-বড় কয়েক লাখ ভবন‘র অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, মার্কেট, শপিং মল, বাণিজ্যিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। রাজউকের মতে, রাজধানীর ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ও অনুমোদনহীন। ঢাকায় ঠিক কতগুলো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, এর প্রকৃত হিসাবও নেই কারো কাছে। সঠিক তালিকা না থাকলেও রাজউকের তথ্য মতে, শহরের ৭৪ শতাংশ ভবন গড়ে উঠেছে নকশাবহির্ভূতভাবে। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা ধরে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা থাকলেও সেটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। সম্প্রতি সেফটি অ্যাওয়্যারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে জানানো হয়, রাজউকের নিয়ম-নীতি না মানায় ঢাকায় ২১ লাখ ৪৬ হাজার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এসব ভবন ভূমিকম্পে হতে পারে মৃত্যুপুরি।

স্থপতি ও নগরবিদ মো. ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ঢাকার ১৩ শতাংশ জায়গায় কোনো ধরনের ভবন বানানো যাবে না, কিন্তু ভবন বানানো হচ্ছে।এতে ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বাড়ছে। এসব ভবন অপসারণ না করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে ঢাকায় বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজউক গত এক দশকে যতগুলো ভবন ভাঙার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে তার চার ভাগের এক ভাগও ভাঙা হয়নি।

জানা গেছে, পুরো রাজধানীজুড়ে প্রায় ২১ লাখ ৪৬ হাজার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাগুলো। এসব ভবনের বেশিরভাগই নির্মাণ হয়েছে নিয়ম-কানুন না মেনে, পুরোনো নকশায় বা দুর্বল ভিত্তির ওপর। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে রাজধানীতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে সতর্ক করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। ‎

‎ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় থাকা ভবনগুলোর ওপর করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ভবনই ২০ থেকে ৩০ বছর আগের নির্মিত। অনেক জায়গায় রড-সিমেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ হয়নি, আবার কোথাও অতিরিক্ত ভবন তৈরি করা হয়েছে অনুমোদিত নকশার বাইরে। ফলে সামান্য কম্পনেও এসব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন নগরবিদরা।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বেড়ে যাওয়ার পেছনে অপরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থাকে দায়ী মনে করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ার পেছনে অপরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা, নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, সবগুলো কারণই মিলেই সমস্যাটা তৈরি হয়। আমরা একে অপরকে দোষ দিই। অনেক জায়গায় যেসব স্থানে ভবন বানানোর কথা নয়, যেমন নিচু ভূমি, জলাশয় বা জলাভূমি, সেসব এলাকায়ও ভবন গড়ে উঠেছে। সেখানে তো মাটির চরিত্রই দুর্বল। তবু আমরা নগর সম্প্রসারণ করেছি।