ভারত আমাদের শত্রু নয়, প্রতিবেশী। তবে তাদের ফেরেশতা মনে করার কিছু নেই। তারা এদেশকে কলোনি তৈরি করতে চেয়েছিল। তাই হাসিনা সরকারের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে গেছে। তাই একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন জুলাই বিপ্লব ও বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ বিষয়ক জাতীয় সংলাপের বক্তারা।

গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে পলিসি প্লেনাম আয়োজিত জাতীয় সংলাপের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন তারা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক প্রফেসর ড. শহীদুজ্জামান বলেন, হাসিনা সরকারের সময় যারাই তার বিরুদ্ধে কথা বলেছে কোনো আলোচনায় তাদের ডাকা হতো না। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে একই অবস্থা দেখা যায়। ফলে সঠিক বিষয়গুলো উঠে আসে না। এদেশের কূটনৈতিক বাহিনীরা কে কতটা ভারতের সাথে মানিয়ে চলতে পারে সেই প্রতিযোগীতায় আছে। ভারত সব সময় বাংলাদেশকে শাসন করার চিন্তা করে। তাইতো নিরাপত্তায় তাদের লোকজন সব দিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। আওয়ামী লীগ শুধু ফ্যাসিস্ট ছিল না, ভারতীয় সরকার ছিল। হাসিনা এখনো ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। যারা বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হবে তাদের আরো ভাবতে হবে। আমরা ৫৫ বছর ধরে পুরোনো পররাষ্ট্রনীতি অবস্থা ধরে রেখেছি। এগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে। যদি জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ব্যর্থ হতো ভারত এদেশে স্থায়ীভাবে অবস্থান নিতো। ভারতের কথা ছিল পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারবে না। তাই আমাদের এখনই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা দরকার।

তিনি আরো বলেন, ভারত আবার সুযোগ পেলে কখনো হাতছাড়া করবে না। আমাদের সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য অনেক সেনা কর্মকর্তাদের তারা আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের এখন দীর্ঘ মেয়াদি বন্ধুর দরকার নেই। দেশের প্রয়োজনে শত্রুতা ও মিত্রতা উভয় করতে হবে। ভারতকে দুর্বল করতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে জোড়দার করা জরুরি। এদেশের নিরাপত্তায় যতদিন ভারতের বা মুদীর হস্তক্ষেপ থাকবে ততদিন সমস্যা শেষ হবে না। হাসিনা সরকার তাদের বেশি আপন করে রেখেছিল। ভারত দীর্ঘ দিন ধরে সীমান্ত নিয়ে নানা কথা বললেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির পর থেকে কিছুটা কমে আসে। ভারত সব সময় বলে তারা স্বাধীনতা দিয়েছে আর বাংলাদেশ তাদের তৈরি। রোহিঙ্গা সমস্যার অন্যতম কারণ আরাকান বুদ্ধিস্টরা। কারণ তারা কখনো চাইছে না রোহিঙ্গারা চলে যাক। আমাদের সেনাবাহিনী ও বিজিত যথেষ্ট প্রশিক্ষিত ও দক্ষ। তবে তাদের কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, গত ৫৩-৫৪ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যতটুকু সমৃদ্ধ হওয়া উচিত ছিল, সেটি অর্জিত হয়নি। দুর্নীতি ও অনৈতিকতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত লোভ ও স্বার্থবোধ অনেক কিছুকে দুর্বল করে দেয়। সরকারি কর্মকর্তা কিংবা রাজনৈতিক নেতারা যদি দেশকে নিজেদের সম্পদ হিসেবেই দেখতে শুরু করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বা প্রশাসনিক কাঠামোই যথেষ্ট নয়। তাই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য ওপর থেকে নৈতিক নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধ জরুরি।

তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার ছিল সংস্কার,বিচার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সংস্কারের প্রস্তাবে উল্লেখিত কিছু আলোচনা যেমন, প্রধানমন্ত্রীর একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকারের প্রধান থাকা, গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদগুলোর নির্বাচন বা মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের দায়িত্ব ইত্যাদি, এসব ইস্যুতে ইনস্টিটিউশনালিজম বা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সমাধান আনতে হবে। যাতে কোনো একক দুর্বলতা বা দলীয় আনুগত্যই সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়ায় প্রাধান্য না পায়। একই সঙ্গে গণভোট বা রেফারেন্ডামসহ বিভিন্ন বিকল্পও বিবেচনায় আনা হয়েছে। কিন্তু যেকোনো প্রক্রিয়া সফল করতে হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরে সত্যিকার একটি অঙ্গীকার থাকতে হবে, নির্বাচন-প্রক্রিয়া, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় কমিশন বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করতে হবে; আর সেই কর্মপ্রতিশ্রুতি সাধারণ মানুষের নিকট সমর্থনযোগ্য হতে হবে।

এহসানুল হক জুবায়ের বলেন, আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে, জাতিকে নৈতিকতা, শিক্ষা, দক্ষতা ও সাংস্কৃতিকভাবে গড়ে তোলা। যদি আমরা জনগণের কল্যাণকে প্রথমে রেখে, ব্যক্তিগত স্বার্থচরমে তুলনা না করে এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারি, তখনই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। অন্যথায় আদর্শ নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও সবকিছু কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তাই দুর্নীতিমুক্ত, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য সকলে মিলেই কড়া কমিটমেন্ট নিতে হবে।

এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা ২০২৪ সালে বিশ্বের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে বলেছিল, “বাংলাদেশ বিগিংস এগেইন” অর্থাৎ, বাংলাদেশ আবার শুরু করছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের আন্দোলন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে এমন এক অবস্থানে দেশটি পৌঁছেছে, যা নতুন আশার প্রতীক। আমরাও সেই আশার অংশীদার। ৫৩-৫৪ বছরে যা কিছু ঘটেছে, সে আলোচনা ফেলে এখন আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অতীত নিয়ে সমালোচনা না করে আমাদের কাজ হবে ভবিষ্যতের জন্য কী করব, কীভাবে আত্মনির্ভর ও স্বনির্ভর হব, কেমন করে আমাদের মানসিকতা ও মনোভাবের পরিবর্তন আনব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতির মূল তিনটি স্তম্ভ হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত। কৃষি খাত এখনো আমাদের অর্থনীতির মেরুদ-। করোনাকালে যখন শহরগুলো যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল, তখনও গ্রামের কৃষি অর্থনীতি সক্রিয় ছিল। কৃষকরা উৎপাদন অব্যাহত রেখেছিলেন, যার কারণে আমরা টিকে থাকতে পেরেছি। আবার বর্তমানে এই কৃষক, এই অশিক্ষিত গরিব মানুষই রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে। বিদেশে গিয়ে কষ্টের রোজগার করা এই শ্রমিকদের পাঠানো টাকা বড়লোকেরা, শিক্ষিত অভিজাতরা লুট করে নিচ্ছে এটাই এক বিরাট বৈপরীত্য। যিনি সিঙ্গাপুরে ৪০তম ধনী হয়েছেন, তার সেই টাকার উৎসও এই দেশ থেকে নেওয়া রেমিটেন্সের অর্থ। যদি এই উতসগুলো থেকে আসা টাকাগুলো দেশেই বিনিয়োগ করতে পারতাম, তাহলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। আমাদের শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে শ্রমিকরা দক্ষ হয়ে বিদেশে ভালো কাজ পেতে পারে এবং দেশে ফিরে উদ্যোক্তা হতে পারে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, এদেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিধিমালায় কোনো দিন গণমাধ্যমের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া আমাদের উচিত ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন এমন প্রভাব বিস্তার করেছে যে, প্রথম সারির গণমাধ্যমও কোনো খবর প্রকাশ করলে অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না। সম্প্রতি জুলাই যুদ্ধার হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া ঘটনাটি যতটা উঠে এসেছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা ততটা সামনে আসেছি। এর প্রধান লক্ষ হলো ৫ আগস্টের পর থেকে তৈরি হওয়া ঐক্যকে নষ্ট করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ বলছে এসব কোন কিছুই ঘটেনি। এছাড়া শিক্ষকদের আন্দোলেনর মাঝেও অনেকে এসেছেন পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য।

এসআইপিজি ও এনএসইউ’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রফেসর এম এ রশীদ বলেন, বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চারটি হুমকি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ভারত, রোহিঙ্গা সমস্যা, মিয়ানমার ও দেশের অভ্যন্তরীন হুমকি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিগত সময়ে নিরাপত্তার সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক ছিল না বলে হাসিনা সরকার ত্রাসের রাজত্ব করতে পেরেছে। ভারত আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। তারা প্রতিটি স্তরে তাদের লোকজন তৈরি করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরা ছিল তাদের প্রধান হাতিয়ান। ভারতের আগ্রাসন থেকে বাঁচতেই জুলাইয়ের আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনকারীরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চেয়েছে। ভারত আমাদের কলোনি হিসাবে দেখেছে সব সময়। আওয়ামী লীগের সব খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে তারা। আমাদের দেশে যেসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে তার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া উচিত এবং ভারতকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা দরকার। বিডিআর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ ও দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। মূলত এদেশের মানুষের মনোবল ধ্বংস করতে বিডিআর হত্যা ঘটিয়েছে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সবাইকে কাজ করতে হবে। আমরা কখনো ভারতের তাবেদারি করবো না। এদেশের স্বাধীনতা সাধারণ মানুষ রক্ষা করবে।

আমজনতার দলের কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান (অব) বলেন, বর্তমানে এমন অবস্থা হয়েছে যে, কে হাসিনর লোক আর কে আমাদের লোক বুঝা সম্ভব হচ্ছে না। যতক্ষণ না আমরা এক হতে পারবো, ততক্ষণ কিছুই করতে পারবো না। হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ভারতের লোক বসানো হয়েছে গত ১৬ বছরে। তারা আমাদের সব কিছু ধ্বংস করতে পারে। তাই সকল স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ থাকা জরুরি। ভারতক আন্তর্জাতিকভাবে থামানোর চেষ্টা করতে হবে।

এসআইপিজি ও এনএসইউ’র পরিচালক অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা তৈরি করা জরুরি। আমরা যখনই কোনো নীতিমালা তৈরি করি তা ব্যর্থ হয়, পরে তা ভুলে যাই। নীতিমালার প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন করতে হবে সেক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের সংযুক্ত করতে হবে। যদি সমন্বয় না থাকে তাহলে কিছুই কাজে আসবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে থাকতে হবে। হাসিনার আমলে স্বাধীন কোন পররাষ্ট্র নীতিমালা ছিল না।

সংলাপে কর্নেল আশরাফ বলেন, আমরা একটা জায়গায় এসে ঠেকে গেছি যেখানে হাসিনা দেশকে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রেখে গেছে। সে সকল ক্ষেত্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে গেছে। তাই এদেশে বুঝা যাচ্ছে না কে শত্রু আর কে মিত্র। একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ভারত আমাদের শত্রু নয়, প্রতিবেশী। তবে তাদের ফেরেশতা মনে করার কিছু নেই। বিগত ১৬ বছরে তারা সব ধ্বংস করেছে। সবাই বুঝে গেছে ভারত ভালো প্রতিবেশী নয়।

আইবিউডাব্লিউএফ এর সেক্রেটারি জেনারেল ড আনোয়ারুল আজিম বলেন, বাংলাদেশে কৃষিই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এ দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে যুক্ত। এই সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন, প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন এবং ১৮ কোটি মানুষের সার্বিক অগ্রগতির জন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে পারলে নির্ধারিত বাজেট যথাযথভাবে কাজে লাগানো গেলে বড় পরিবর্তন সম্ভব। যদিও আমি মনে করি, বাজেট আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের চেহারা বদলে যাবে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের চেয়ে উন্নত নয়, তারা শুধু বাস্তবায়নে সফল হয়েছে। আমরাও পারব, যদি আমাদের মানসিকতা ও কাজের মনোভাব ঠিক থাকে।

জাতীয় গণতান্ত্রনিক পার্টির সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, রপ্তানি খাত হিসেবে গার্মেন্টসকে আমরা সবচেয়ে বড় সেক্টর হিসেবে গণ্য করি, আর দেশের অর্থ প্রবাহে রেমিট্যান্সও একটি গুরুত্বপূর্ণ কুঁড়ি ধরে আছে। গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স ছাড়াও ওষুধ বা চামড়াজাত পণ্যের মতো কিছু শিল্প আমরা দেখেছি, কিন্তু এসবেই সমস্যার বীজ লুকিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা প্রথম বড় ব্যর্থতা হিসেবে আমরা রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশিলতাকে দেখতে পাই ।