জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে যাকে সরকারপ্রধান বানানো হয়েছে উনি লন্ডনে গিয়ে সিজদা দিয়ে এসেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা আছে কি না অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে প্রেস কনফারেন্স করেছেন। ওইদিনই তিনি লন্ডনে সরকারকে বেচে দিয়ে এসেছেন।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, মিডিয়া এখন রাজনৈতিক দলের কাছে বিক্রি। প্রশাসনে দেখা যায় সচিবালয়ে ৫টায় অফিস শেষ হয়, ৪টা থেকেই গুলশান ও পল্টনে লাইন দেয়া শুরু হয়। আগে এটা ধানমন্ডি ৩২ আর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে হতো। এটি যে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে সুখকর বিষয় ব্যাপারটি এমনও নয়। এ সময় চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদ বলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নাকি আমরা টাকা নিয়েছি। আমি আপনাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে বললাম যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাদের কেউ এসে সাক্ষ্য দিক যে তারা আমাদের কাছ থেকে টাকা দিয়েছে। অথবা এটার নথিপত্র থাকবে। একটা প্রমাণ যদি পাওয়া যায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বা তার সহযোদ্ধারা দুর্নীতি করেছে আমরা রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিবো।

নির্বাচন নিয়ে হাসনাত বলেন, আমাদেরকে বলা হয় আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই। আরে নির্বাচনের টাইমলাইন নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। নির্বাচন নভেম্বর, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হোক আমাদের কোনও সমস্যা নেই কিন্তু রুলস অব গেম চেঞ্জ করে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন যখনই হোক অবশ্যই সেটা গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। পুরোনো সংবিধানকে ফ্যাসিবাদের পাঠ্যবই উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই একটা নতুন সংবিধান দিতে হবে। আর যারা মনে করছে নতুন রাজনৈতিক দলকে উঠতে দিবে না তাদের বলতে চাই আসন দিয়ে আমাদের কেউ কিনতে পারবে না। আমরা বিক্রি হতে আসিনি।

এনসিপির এই নেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের অনেকেই আমাদেরকে শত্রুজ্ঞান করে। কিন্তু কোনো লাভ নেই। কারণ ৫ আগস্টের পর আপনি যদি মনে করেন এই দিনটি যে কারণে হয়েছে সেই কারণগুলোকে বিদ্যমান রেখে আপনি একটা নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে যাবেন তাহলে আপনি আরও একটি গণপ্রতিরোধের শিকার হবেন।