জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ রোববার আবার আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক বার্তায় কমিশনের এ কর্মসূচি জানানো হয়। এবারের বৈঠকেও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা এতে অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের সংলাপে বসেছিল কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমাতে সরকারের কাছে দুটি প্যাকেজ প্রস্তাব করবে ঐকমত্য কমিশন। প্রথমত সংবিধান আদেশ জারি, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত গ্রহণ এবং গণভোট আয়োজন। দ্বিতীয়ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণপরিষদ বা সংবিধান সংস্কার সভার মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমপি) দ্বারা সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলোর সমাধান। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রস্তাবে দলগুলোর মধ্যে ঐক্য না হওয়ায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রথম পর্বে ঐকমত্যে ৬২টি বিষয়ে, দ্বিতীয় পর্বে ২০টিতে : মোট ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে পাঠায়। অনেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও দেয়। মতামত গ্রহণের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মোট ৪৪টি বৈঠক হয়। কিছু দলের সঙ্গে হয় একাধিক বৈঠক। প্রথম পর্বের আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়।

এদিকে জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫ নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে কমিশন থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন কমিশনের সদস্যবৃন্দ। বিশেষত, রোববার অনুষ্ঠেয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের মুলতবি সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে, সেগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে। সভায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে ইতোপূর্বে বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত মতামত ও পরামর্শসমূহ পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি, এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া অভিমতও পুনঃবিশ্লেষণ করা হয়। বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় অংশ নেন।