নানা আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রথম দিন উদযাপিত হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। জুলাই মাসে সরকারের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের উদ্বোধন করে। এদিন প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করে চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্রে। সেখানে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের সম্মাননা দেওয়া হয়। অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দেন। এ ছাড়া জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র পক্ষ থেকে দেশব্যাপী পদযাত্রার আয়োজন করে। দলটির পক্ষ থেকে শহীদ আবু সাঈদের মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে সারাদেশে পদযাত্রা শুরু করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় গণসংযোগ, প্রচারাভিযান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। দলের শীর্ষ নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। গতকাল সকাল ৮টায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

গণঅধিকার পরিষদ (নুর-রাশেদ) মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার (২০১৮-২০২৪)’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি পালন করে জুলাই ঐক্য। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এ ছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)।