দীর্ঘদিন নানা শারীরিক জটিলতায় ভোগার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনসমক্ষে সাধারণত হুইল চেয়ারে দেখা গেছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার ছিল এক ভিন্ন চিত্র। কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে সরাসরি গুলশানের ফিরোজায় যান তিনি। সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত আসে তখন, যখন গাড়ি থেকে নামার পর খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূসহ অন্যদের সহায়তায় ধীরে ধীরে হেঁটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। এই দৃশ্য শুধু তার শারীরিক উন্নতির নয়, বরং তার মনোবলের এক দৃশ্যমান উদাহরণ হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রধানকে হাঁটতে দেখে আবেগে কাঁদতে দেখা যায় অনেক নেতাকর্মীকে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা বলেন, ম্যাডাম আজ নিজে হেঁটে ফিরোজায় ঢুকেছেন, এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় প্রেরণা। তিনি যে লড়াকু ছিলেন, আছেন, থাকবেন, সেটি আবার প্রমাণিত হলো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিযার এই পায়ে হেঁটে প্রবেশ যেন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী প্রত্যাবর্তনের চিহ্ন এঁকে দিল। একজন নেত্রীর, একজন সংগ্রামী নারীর, একজন প্রত্যাবর্তনশীল রাজনীতিকের প্রতীক তিনি। তারা বলছেন, চার মাসের দীর্ঘ চিকিৎসা-যাত্রা শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের দেশে প্রত্যাবর্তনটা রাজনৈতিক অঙ্গনেও এক আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম দেয়। গুজব ছিল শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হয়তো আর ফিরতে পারবেন না, রাজনীতির মঞ্চে আর দেখা যাবে না তাকে। কিন্তু সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফিরোজা ভবনের চৌকাঠে পা রাখলেন তিনি, হাজারো নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে। এই প্রত্যাবর্তন যেন শুধুমাত্র একটি ব্যক্তির দেশে ফেরা নয়। এটি ছিল কোটি কোটি মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। তার এই রাজসিক প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে নতুন আলোচনায় এসেছে দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ। তার উপস্থিতি রাজনীতির মাঠে নতুন গতি আনবে এমনটাই বলছেন অনেকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়া নিজের মতো করেই দেশে ফিরলেন। মূলত গণমানুষের নেতা হিসেবেই গণমানুষের কাছে ফিরে এলেন তিনি। বেগম জিয়ার এবারের দেশে ফেরা ভিন্ন রকমের। তিনি দেশে ফেরার পর সামগ্রিকভাবে রাজনীতির চিত্র বদলে যেতে পারে। রাজনীতির আকাশে অনিশ্চয়তার যে মেঘ হানা দিয়েছে, খালেদা জিয়ার পরামর্শ ও অভিজ্ঞতার আলোকে সেই মেঘ কেটে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতিই শুরু হয়েছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ফলে অনেকেই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ খালেদা জিয়ার উপস্থিতি রাজনীতিতে গতি সঞ্চার করবে এবং নানা গুঞ্জন ও গুজবের অবসান ঘটাবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবেই খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। কারণ, খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পথে পরিষ্কারভাবেই বাধা সৃষ্টি করেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার। প্রথমত, দীর্ঘদিন জেলে আটকে রেখে। দ্বিতীয়ত, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে। যে কারণ খালেদা জিয়া বারবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনও হয়েছে, বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে, কিন্তু খালেদা জিয়াকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আসে। বয়স ও রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য কমবেশি সবাই বলেছিলেন তৎকালীন সময়ে। কিন্তু শেখ হাসিনা বা তার সরকারকে কোনোভাবেই বোঝানো সম্ভব হয়নি। বরং খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সুবিধাকে বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন।

জানা গেছে, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার বিনিময়ে খালেদা জিয়াকে নানা প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ এর জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ মিলবে, রাজনীতি থেকে অবসরে চলে যেতে হবে, ধরনের নানা প্রস্তাব শেখ হাসিনার সরকার খালেদা জিয়াকে দিয়েছিল বলে জনশ্রুতি আছে। কিন্তু কোনো প্রস্তাবই খালেদা জিয়াকে টলানো যায়নি। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকারের প্রতি খালেদা জিয়া সচেতন ছিলেন এবং সেই জায়গা থেকে তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার দাবিতে অনড় ছিলেন। কোনো কিছুর বিনিময়ে তিনি বিদেশে যেতে চাননি। এই যে নিজের অবস্থানে অনড় থাকা, সমঝোতা না করা, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া, এসবই খালেদা জিয়ার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যই তাকে রাজনীতিতে অন্যদের থেকে পৃথক করেছে।

নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লব পর্যন্ত খালেদা জিয়া দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল রাজনৈতিক পথ অতিক্রম করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। জেলে গেছেন দুইবার। রাজনীতিতে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে নিজস্ব নেতৃত্বের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন। খালেদা জিয়া নিজেকে দলীয় গ-ির বাইরে নিয়ে গেছেন। তিনি এখন শুধু বিএনপির নেতা নন, সারা দেশের মানুষের নেতায় পরিণত হয়েছেন। এই যে দলীয় সীমানার বাইরে গিয়ে সারা দেশের মানুষের নেতায় পরিণত হওয়া, এটাই খালেদা জিয়ার কৃতিত্ব। দেশে ফিরবেন শুনে দেশবাসীর আগ্রহ, আবেগ, ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করা, বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা পর্যন্ত লাখো জনতার ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো, এটাই খালেদা জিয়ার অর্জন। এখানেই তিনি অন্যদের ছাড়িয়ে গেলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারুফ মল্লিক বলেছেন,খালেদা জিয়ার রাজনীতির নিজস্ব একটি ধারা আছে। এই নেতৃত্বে আছে গাম্ভীর্য, প্রজ্ঞা ও কৌশলের মিশ্রণ। ৩৬ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়ে দুই কিশোর সন্তানকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছিলেন খালেদা জিয়া। এর পরের ৪৫ বছর তিনি দেশের জন্য রাজনীতিতে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের নেতৃত্ব দিয়ে বহুধারায় বিভক্ত বিএনপিকে দুইবার ব্যালটের রাজনীতিতে জয়ী করেছেন। একাধিকবার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ এসেছিল, কিন্তু তিনি দেশের বাইরে যেতে রাজি হননি। শালীন রাজনীতিবোধ, মার্জিত আচরণ, অনমনীয়তা, আপসহীনতা, দূরদৃষ্টি ও আত্মত্যাগের মিশেলে এক শক্তিশালী রাজনৈতিক চরিত্র খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া কোনো নির্বাচনেই হারেননি। কঠিন ও বিরোধী সমর্থনপুষ্ট আসন থেকেও তিনি জিতে এসেছেন। নির্বাচনের রাজনীতিতে তিনি অপরাজেয়।

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলম দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, নানা কারণেই খালেদা জিয়া আজ আবার আলোচনায়। রাজনীতির বন্ধুর পথ তিনি সফলতার সঙ্গে পার করে এসেছেন। কথিত দুর্নীতির মামলা, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, ছোট সন্তানের মৃত্যু, একাকী নিঃসঙ্গ জেলজীবন, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, শারীরিক অসুখসহ নিপীড়ন, নৃশংসতার শিকার হয়েও খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নোয়াননি। রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়ার অর্জন বিশাল, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। তবে তার গাম্ভীর্যতা কেড়ে নিতে পারেনি। এবার যখন বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন খালেদা জিয়া, সেই গাম্ভীর্য ও আপসহীনতারই প্রতিফলন দেখ গেল।

এদিকে লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা শেষে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া দেশে ফেরায় উচ্ছ্বসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্রের জন্য চলমান লড়াই সংগ্রামে তার উপস্থিতি নেতাকর্মীদের আরো বেশি করে উজ্জীবিত করেছে। বিশেষ করে আগের চেয়ে শারীরিক সুস্থতায় ভরসার জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন তারা। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসায় প্রবেশকালে হুইলচেয়ার থেকে নেমে হেটে পথচলার দৃশ্যে আশাবাদী হয়ে উঠছেন দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী। রাজনীতিতে আবারো তিনি সক্রিয় হয়ে উঠবেন কিনা এমন জল্পনা-কল্পনা চলছে সর্বত্র। নেতাকর্মীরা মনে করছেন, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতায় তাদের প্রিয় নেত্রী মাঠের রাজনীতিতে আগের মতো দাবড়িয়ে বেড়াতে না পারলেও খালেদা জিয়ার মতো একজন আপসহীন নেত্রীর উপস্থিতি বেশি প্রয়োজন ছিল। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার মতো সর্বজন গ্রহণযোগ্য নেতা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যেটা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। আগামী রাজনীতিতে সরব উপস্থিতি না থাকলেও তার দিক নির্দেশনায় দল ও দেশ উপকৃত হবেন বলেই বিশ্বাস করেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা জানান, খালেদা জিয়া হুইলচেয়ার থেকে হেটে বাসায় প্রবেশ করার ঘটনাতেই তারা বেশি আবেগপ্রবণ হয়েছেন। যেটা তারা বিগত কয়েক বছরে কল্পনাও করতে পারেননি। আর এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিচ্ছে- তাদের প্রিয় নেত্রী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবারো রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। যদিও বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতারা বলেন, দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে গণমানুষের নেতা গণমানুষের কাছে ফিরে এসেছেন। আপসহীনতা, অনমনীয়তা, দূরদৃষ্টি ও আত্মত্যাগের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টিকারী খালেদা জিয়ার বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখনি রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবেন বলে মনে করছেন না। তবে সুস্থ হয়ে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারেন। নীতিনির্ধারণী ফোরামেও রাখবেন ভূমিকা। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও থাকবে তার।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, লন্ডনে চিকিৎসার পর শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটা সুস্থ আছেন খালেদা জিয়া। জনসমাবেশে খালেদা জিয়াকে আবার সশরীরে দেখা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনে রাখবেন- যখনই জাতির প্রয়োজনে প্রয়োজন তখনই বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দেবেন।

দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ প্রতিবেদককে বলেন, খালেদা জিয়াতো এখনো রাজনীতিতেই আছেন। তিনি আমাদের দলের এখনো চেয়ারপার্সন। মাঝে ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রতিহিংসায় তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেও তিনি এই রাজনীতির জন্যই, দেশের গণতন্ত্রের জন্যই ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কারা নির্যাতন সহ্য করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা দেশনেত্রী, জনগণের নেত্রী পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হবেন। তার অভিজ্ঞতা আর আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিচক্ষণতায় দেশে আবারো গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে।

সূত্র মতে, খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচিতে আসেন ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচিতে। পরে তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলসংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি সিলেট সফর করেছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই বছরের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারেননি। রাজনীতিতে তার অনুপস্থিতিতে তারই বড় ছেলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে দল পরিচালনা করে আসছেন। এখন পর্যন্ত তিনিই সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, বিভিন্ন খাতে সংস্কারের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে নির্বাচন হয় ডিসেম্বরেই, না হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।