অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের করপোরেট গ্যারান্টেড সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়াসিউর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার রাতে রাজধানীর মধ্যবাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় জনতা ব্যাংকের মতিঝিল দিলকুশা লোকাল অফিস শাখা থেকে ওটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড তিনটি এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট গ্রহণ করে। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৯ মাস প্রতিষ্ঠানটি আমদানির নামে পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রপ্তানির চার মাসের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা ফেরত আনেনি।

সিআইডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্তে জানা যায় ওটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত না এনে অর্থ পাচার করেছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধ। ওয়াসিউর রহমান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ও অন্যান্য এজাহারনামীয় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার ওয়াসিউর রহমানকে গতকাল রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ও তাঁর সহযোগীদের বিদেশে কোনো অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো গ্রুপ) প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, সালমান এফ রহমান আত্মীয়স্বজনদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান খুলে বিদেশে অর্থ পাচারের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।