চলতি নবেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অটোগ্যাস ৬৫.৬৭ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫.৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর রোববার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে কার্যকর হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গতকাল রোববার বিকেলে নতুন দর ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। এ সময় কমিশনের সদস্য মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহিদ সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, অক্টোবর মাসে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ২৯ টাকা টাকা কমিয়ে ১২৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়, সেপ্টেম্বরে ১২ কেজির দাম ছিল ১২৭০ টাকা। আর গত জুন মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম ছিল ১৪০৩ টাকা, অটোগ্যাস ছিল ৬৪.৩০ টাকা। আমদানি নির্ভর এলপি গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজারদর কয়েক মাস ধরেই কমতির দিকে। সাধারণত শীতকালে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে এর চাহিদা বেড়ে গেলে দামও উর্ধ্বমূখী হয়ে থাকে।
আমদানি নির্ভর এলপিজিতে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলে প্রথম দর ঘোষণা হয়। ওই আদেশে বলা হয় সৌদির দর উঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। তবে অভিযোগ রয়েছে কখনই বিইআরসি নির্ধারিত দরে বাজারে এলপি গ্যাস পাওয়া যায় না।
আবার বাংলাদেশের প্রতিবেশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনেক কম দামে পাওয়া যায় এলপি গ্যাস। সেখানে পরিবহন খরচ অনেক কম পড়ছে। আর আমাদের এখানে অনেক বেশি কিল কষা হচ্ছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের যুক্তি হচ্ছে তারা ছোট জাহাজে করে পরিবহন করায় খরচ বেশি পড়ছে।
সম্প্রতি এক সেমিনারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হওয়া উচিত ১০০০ টাকা। ১২০০ টাকার সিলিন্ডার ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। দায়িত্বহীন ব্যবসা হতে পারে না, ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে। এলপিজির দাম কমানোটা চ্যালেঞ্জ, এ জন্য ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে, বেশি মুনাফা করে টাকা পাচারের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।