নির্বাচনী মাঠে লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি ও পিআর পদ্ধতিসহ সাত দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নগরবাসীর যাতে কষ্ট না হয় এ জন্য সড়কে সমাবেশ না করে সোহরাওয়ার্দী মাঠে বালু ভরাট করে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। মাঠে অসমতল অংশে বালু ভরাট, মঞ্চ তৈরী, ত্রিপল টানানো, মেডিকেল ক্যাম্পসহ যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রস্তুতি সর্ম্পকে বলেছেন, সড়কে সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ বাড়তো। সেই বিবেচনায় জনস্বার্থে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করছি। নগরবাসীর যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

তিনি জানান, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, সমাবেশ সফল করতে গঠন করা হয়েছে আটটি অনুবিভাগ। থাকবে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, যাতে দূর থেকেও অংশগ্রহণকারীরা কার্যক্রম দেখতে পারেন। জাতীয় সমাবেশ সফল করে তোলার লক্ষ্যে একটা মূল বাস্তবায়ন কমিটি এবং এর অধীনে আরও ৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। সারাদেশে লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন এর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান মাইকের মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারাদেশে পাড়া ও মহল্লায় মহল্লায় মিটিং ও মিছিল চলছে। ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানের সুর ও নাটিকার মাধ্যমে সমাবেশের বার্তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছানো হচ্ছে।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ২০টি পয়েন্টে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করবে। স্বেচ্ছাসেবক পরিচয়ের জন্য আলাদা ড্রেস থাকবে। ঢাকা শহরের বাইরে থেকে ঢাকা এবং পাশর্^বর্তী জেলা থেকে যারা আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কমপক্ষে ১৫টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সারাদেশ এবং পাশর্^বর্তী জেলা থেকে রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথ সবপথেই এই সমাবেশের দিকে মানুষের ঢল নামবে রাজধানী অভিমুখে। সেখানেও স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চতুর্দিকে ভিতরে এবং বাইরে মিলিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আমাদের ১৫টি মেডিকেল বুথ থাকবে। একাধিক বেড সম্বলিত প্রতিটি বুথে ২ জন করে এমবিবিএস ডাক্তার থাকবেন। জরুরি ঔষধ এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাতীয় সমাবেশের কার্যক্রমে আইটি টিম এবং লাইভ প্রচারের জন্য ড্রোন টু ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে সমাবেশে উচ্চমানের ভিডিও ধারণ এবং সমাবেশস্থলে এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করা এবং ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল সামাজিক মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে।