# সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ৮ জন, উন্নতির দিকে ২৩ জন
# লাশ শনাক্তে ১১ জনের ডিএনএ সংগ্রহ
# মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ভবনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে যে কোনো সময় এটি উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। বিমানের ব্ল্যাক বক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কখনো বিমানের দুর্ঘটনা ঘটলে বা বিধ্বস্ত হলে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) এর মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়। সে ক্ষেত্রে উত্তরায় বিধ্বস্ত বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমানটির ব্ল্যাক বক্স সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিধ্বস্ত বিমানের যন্ত্রাংশ এবং আলামত সংগ্রহ করছে বিমান বাহিনী। এছাড়াও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্ধার করা আলামত এবং ব্ল্যাক বক্সের তথ্য যাচাই করে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
এছাড়া তদন্ত ও অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের জোর তৎপরতার কথা জানান। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনও বলেছেন, ঘটনার কারণ কী, তা ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করলেই জানা যাবে। এখানে গল্প বানানোর কোনো সুযোগ নেই। বাস্তবতাই বলবে কী ঘটেছে।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখনও শনাক্ত না হওয়া ছয়টি লাশ পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত ১১ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ। সিআইডি বলছে, লাশগুলো যেহেতু শিশুর, তাই শনাক্তের জন্য কেবল বাবা-মার ডিএনএ নমুনাই যথেষ্ট হবে। এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা সিএমএইচে রাখা অজ্ঞাত ৬ লাশ শনাক্তে সিআইডি নমুনা সংগ্রহ শুরু করবে। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার সম্পা ইয়াসমিন জানান, উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় ছয়টি লাশ রাখা হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। যেগুলোর পরিচয় মেলেনি। ইতোমধ্যে আমরা ওই ছয়টি লাশের ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি; যা থেকে মিলিয়ে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত ১১ জন বাবা-মার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-যদি কারও সন্তান বা স্বজন নিখোঁজ থাকেন এবং তাদের নাম এখনও সরকারি তালিকায় না থাকে, তাহলে মালিবাগে সিআইডি অফিসে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দেবেন। সেই সঙ্গে শুধুমাত্র বাবা-মার নমুনা দেওয়া অনুরোধ জানান সিআইডি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৬৮ জন, যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন এবং আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। পরিচয়হীন নিহতদের লাশ রাখা হয়েছে ঢাকা সিএমএইচে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দীন বলেছেন, সিঙ্গাপুরের একজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করেছি। বৈঠকে রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে ৩টি ভাগ করেছি। এখানে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে ৮ জন রোগী আছে। তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাদের অবস্থা ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হচ্ছে। তাদের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে আছে ১৩ জন রোগী। ইন্টারমেডিয়েট ক্যাটাগরিতে আছে ২৩। তাদের দ্রুত ভালোর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সব মিলে মোট ৪৪ জন রোগী এখানে ভর্তি আছে। গতকাল বুধবার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক নাসির উদ্দীন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, রোগীদের এই তিন ক্যাটাগরি আমাদের ডায়নামিক প্রসেস। রোগীদের অবস্থাভেদে এসব ক্যাটাগরি পরিবর্ত হতে পারে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এখানকার প্রত্যেক রোগী নিয়ে আলোচনা করেছি। কারও অপারেশন লাগবে কি না, কার কি পরিমাণ ড্রেসিং লাগবে, ওষুধ পরিবর্তন হবে কি না; সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি কতদিন থাকবে, এটা এখনো ঠিক হয়নি। তারা কতদিন থাকতে চায়। সেটা পরে জানাবো। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় বেশ কিছু জায়গায় তিনি আমাদের সঙ্গে একমত। কিছু বিষয়ে তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। আমেরিকাও আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। সবার পরামর্শ নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে দগ্ধদের বিদেশ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। এখানে যে প্রটোকলে আছে সেটাই ফলো করবো বলে জানান তিনি।
গুজব ছড়ানো হচ্ছে: বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী। আইএসপিআরের পরিচালক বলেন, ‘অনেকেই না বুঝে এসব গুজবে বিশ্বাস করছেন। সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস আমাদের নেই।’ গতকাল বুধবার দুপুরে সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় আইএসপিআরের পরিচালক এ কথা বলেন। বার্তায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, ঘটনার পরপরই কোনো পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সাড়া দিয়েছে, যেমনটি সব সময় করে থাকে। সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস আমাদের নেই। আমি ও আইএসপিআরের দল সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। আইএসপিআরের পরিচালক আরও বলেন, যেকোনো গণমাধ্যম চাইলেই এ বিষয়ে (মৃত্যুর সংখ্যা) তদন্ত করতে পারে। সেনাবাহিনীসহ যে কারও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট যেকোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।
হতাহতের সংখ্যার সর্বশেষ তথ্য: মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন মহল ও জনমনে নানান প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। এ নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও। অনেকেই যার যার মতো করে অভিমত ব্যক্ত করছেন। মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ বলছেন মারা গেছেন ২৯ জন, কেউ বলছেন ৩০, আবার কেউবা বলছেন ৩১ জন। এছাড়া মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট আহতের সংখ্যা নিয়েও পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। এ অবস্থায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল হোসেন। তার সই করা এক পরিসংখ্যানের তথ্যের (টেলিফোনের মাধ্যমে প্রাপ্ত) বরাতে এ নিয়ে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ। তিনি জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বুধবার দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এছাড়া জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ৬৯ জন। পরিসংখ্যান বলছে, নিহত ২৯ জনের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১১ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (পরিচয় জানা যায়নি) ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। তথ্য অনুযায়ী, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে বর্তমানে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন, সিএমএইচে ২১ জন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে একজন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন আছেন। ২৯ জনের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১১ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (পরিচয় জানা যায়নি) ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।
ডা. আবু হোসেনের পরিসংখ্যান মোতাবেক, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যাওয়া ১১ জন হলেন- তানভীর (১৪), আদনান ফাইয়াজ (১৪), মাহেরীন (৪৬), বাপ্পি (৯), মাসুকা (৩৭), এবি শামীম (১৪), শায়ান ইউসুফ (১৪), এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩) ও নাফি (৯)। সিএমএইচে মারা যাওয়া ১৫ জন হলেন- রজনী ইসলাম (৩৭), এমডি সামিউল করিম (৯), ফাতেমা আক্তার (৯), মেহেনাজ আফরিন হুমায়রা (৯), সারিয়া আক্তার (১৩), নুসরাত জাহান আনিকা (১০), সাদ সালাউদ্দিন (৯) ও সায়মা আক্তার (৯)। তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের লাশ এরই মধ্যে দাফন করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে মারা যাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬ জন রয়েছেন। এ ছয়জনের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। একই সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে ৯ বছরের শিশু জুনায়েতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লুবানা জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় (বয়স উল্লেখ নেই) একজনের লাশ রয়েছে। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে উমায়ের নূর আসফিক নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৯ জনের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষক, ৪১ জন শিক্ষার্থী, একজন স্কুল স্টাফ, একজন ফায়ার ফাইটার, একজন পুলিশ, ১৪ জন সেনাসদস্য, একজন আয়া, একজন ইলেকট্রিশিয়ান ও অন্যান্য চারজন রয়েছেন। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে ৩৫ জন শিক্ষার্থী, চারজন শিক্ষক, একজন ইলেকট্রিশিয়ান ও একজন আয়া রয়েছেন। অপর তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে আটজন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- মাহাতাব (১৪), মাসুমা (৩২), আইয়ান (১৪), মাহিয়া (১৫), জারিফ (১২), শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন (৪৫), নাবিদ নাওয়াজ (১২) ও সাইমন (১৮)। সেখানে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২১ জন হলেন- তাসনুবা মাহবিন (১১), ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫), তাসনিয়া (১০), শ্রেয়া (৯), রাইসা (১১), পায়েল (১২), শিক্ষিকা নিশি (২৮), নুসরাত (১২), তৌফিক (১৩), ইউসা (১১), জাকির (৫৫), সায়েবা (৯), আলবিনা (১০), মুনতাহা (১০), রুপি বড়ুয়া (১০), জায়ানা (১৩), নিলয় (১৩), শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম (৩৭), শিক্ষিকা সুমাইয়া লরিন (৩০), লরিন কাব্য (১৩) ও কাফী আহমেদ (১০)। এছাড়া আহত পুরুষদের মধ্যে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন মাকিন (১৫), আরিয়ান আফিফ (১২), রোহান (১৪), রাইয়ান (১৪) ও আবিদুর রহমান (১০)। আহত নারীদের মধ্যে এইচডিইউ চিকিৎসাধীন আছেন সামিয়া (৯), সাইবা জাহান (১০), তাসনিয়া (১৫), মেহেরিন (১১), আইমান (১০), সায়রা (১০), সবুজা বেগম (৪০) ও হাফসা খান (১১)। আয়ান খান (১২) ও কাজী আমজাদ সাঈদ (২০) নামে দুজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।