ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, তৃণমূলের মানুষ রাজনৈতিক সচেতন হয়ে উঠলে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। ইউনিয়ন পরিষদ দেশের সর্বপ্রান্তিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। ব্যক্তি পর্যায়ে রাষ্ট্রের সেবা পৌছে দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ। নাগরিকের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক, দেনা-পাওয়া, অধিকার এবং ভোটের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সংরক্ষণ করার বিষয়গুলোতে যদি চেয়ারম্যানগণ তৃণমূলের নাগরিকদের সচেতন করে তোলেন তাহলে কারো সাধ্য নাই বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করার। তাই আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পরিষদকে গুরু দায়িত্ব বহন করতে হবে।
গতকাল সোমবার বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি, বরিশাল সদরের জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাতপাখা প্রতিকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি এখনো নির্ধারিত হয় নাই। যে সংস্কারের জন্য গত জুলাইয়ে ছাত্র জনতা রক্ত দিলো সেই সংস্কারের বিষয়ে আদতে কিছুই করা যায় নাই। এটাই জনমনে হতাশা তৈরি করছে।
মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, আপনারা যারা হাতপাখা প্রতিকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। রাষ্ট্র অর্পিত দায়িত্বের পাশাপাশি ইসলামের সুমহান আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে আপনাদের। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে। হজরত উমর রাদি. এর তাকওয়া নিয়ে কাজ পরিচালনা করতে হবে।
চেয়ারম্যান পরিষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, সহ দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ চেয়ারম্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
জেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ: তফসিলের আগে গণভোট আয়োজন করা, জুলাই সনদের আইনীভিত্তির জন্য সাংবিধানিক আদেশ দেয়া, জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবীতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ৪র্থ ধাপের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দেশের সকল জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি এখনো নির্ধারিত হয় নাই। যে সংস্কারের জন্য গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন ও রক্ত উৎসর্গ করলো সেই সংস্কারের বিষয়ে আদতে কিছুই করা যায় নাই। এটাই জনমনে হতাশা তৈরি করছে। দেশ আগের তিমিরে ফিরে যাওয়ার আশংকা করছে মানুষ।
৪র্থ ধাপের কর্মসূচির পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে কঠোরতর কর্মসূচি দেয়া হতে পারে বলে সতর্ক করেন নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।