মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের ইন্তিকালে শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারা।
এক যৌথ শোক বার্তায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলার নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ও হাফিজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন খান, সিলেট মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী এবং জেলা সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন বলেন, বৃহত্তর সিলেট তথা মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব আমৃত্যু ইসলামী আন্দোলনের সাথে সক্রিয় ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন মৌলভীবাজার জেলা আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলেন। আর্ত মানবতার কল্যাণে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীলকে হারালাম। আল্লাহ পাক তাঁকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
বি-বাড়িয়া জেলার সাবেক আমীর
গোলাম সারোয়ারের ইন্তিকালে
আমীরে জামায়াতের শোক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ সদস্য (রুকন), বি-বাড়িয়া জেলার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য নরসিংদী জেলার ঘোড়াদিয়ার গাবতলী নিবাসী গোলাম সারোয়ার কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ জুন ভোর ৫টার দিকে ৬০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী ও ৩ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৬ জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় গ্রামের নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় জানাযা শেষে তাঁকে গাবতলী সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি আ ফ ম আব্দুস সাত্তার, বি-বাড়িয়া জেলা আমির মাওলানা মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী জেলা আমির মাওলানা মোছলেহুদ্দীন, নরসিংদী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চলের টীম সদস্য নজরুল ইসলাম খাদেম। জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এডিসি জেনারেল এ টি এমন সামসুজ্জামান ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিম উল্লাহসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শোকবাণী: গোলাম সারোয়ার-এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার শোকবাণী দিয়েছেন। শোকবাণীতে তিনি বলেন, গোলাম সারোয়ার একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তিনি ইসলামী আন্দোলনের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বি-বাড়িয়া জেলায় ইসলামী আন্দোলন একটি মজবুত ভিত্তি লাভ করে। তিনি বহু সামাজিক কর্মকা-ের সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।
জান্নাতুল ফেরদৌসের
ইন্তিকালে আমীরে
জামায়াতের শোক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলার প্রবীণ মহিলা সদস্য (রুকন) জান্নাতুল ফেরদৌস বার্ধক্যজনিত কারণে গত বুধবার সকাল ৮:৩০টায় ৭৩ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি ৩ পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৮ জুন দুপুর ২:৩০ টায় মালগ্রাম চাপড়পাড়া এলাকায় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী: জান্নাতুল ফেরদৌসের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার শোকবাণী দিয়েছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস এর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈ বোনকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহিলাদের মাঝে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।