পঞ্চগড় সংবাদদাতা: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার দুইটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশইনকৃত নারী ও শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গতকাল শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মুর্শেদ।

তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডানাকাটা সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।

জানা গেছে আটক সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। তারা হলেন- সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাগবাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুন (৪০), কলারোয়া উপজেলার চিতলা গ্রামের মর্জিনা (৪০), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুক্র গ্রামের নীরুফা বেগম (৪০), যশোরের শার্শা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাজিদা খাতুন (৪০), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৪০), একই গ্রামের ফাইজান শেখ (১০), নোয়াখালীর শ্যামবাগ উপজেলার ডোমনাকান্তি গ্রামের ওমর ফারুক (৩৭), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর গ্রামের মীম আক্তার (২২), সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাপাড়া গ্রামের শাহনাজ (৩৪), নরসিংদীর মাদবদী উপজেলার বালাপুরেরচর গ্রামের তানিয়া (৩৫) ও খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাউনডাংগা গ্রামের আলেয়া (৭০)।

জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের ১১ জনকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মালকাডাঙ্গা ও ডানাকাটা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করে। স্থানীয়রা তাদের সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে দেখে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে অবগত করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে তাদের বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ভারতে অবৈধভাবে অবস্থান করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। গত ২ মে মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রেখে বিমানযোগে ১২৫ জন বাংলাদেশীকে শিলিগুড়ি আনা হয়। সেখান থেকে বিএসএফ ১১ জনকে পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। বর্তমানে আটককৃতদের বোদা থানায় হস্তান্তরসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মেজর রিয়াদ মুর্শেদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবির নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ ও সীমান্তসংক্রান্ত অপরাধ ঠেকাতে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।