কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে মেহেরপুরসহ পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গাতে রোববার দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি, বেলা বাড়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস বেলা ৩ টার সময় রেকর্ড করেছেন ৪২ডিগ্রি তাপমাত্রা যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ২৩ শতাংশ।
গত শুক্রবার ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১.২ ডিগ্রি। সেটিও ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মেহেরপুরে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস না থাকায় চুয়াডাঙ্গার সাথে মিলিয়ে মেহেরপুরের তাপমাত্রা ধরে নেওয়া হয়।
এদিকে, টানা কয়েকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। মাঠে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে কাজে নেমে পড়া শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালকরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন সড়কে রোদের তাপে পিচ গলে যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে।
কৃষক আবুবক্কর বলেন, সূর্য উঠে গেলেই আর মাঠে থাকা যাচ্ছে না। মাটি গরম হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব সকালে দু’এক ঘন্টা কাজ করে বাড়ি চলে আসছি।
শ্রমিক কফিল উদ্দিন জানান, পেটের দায়ে মাঠে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া কোন উপায় নেই।
কৃষক কাবের আলী বলেন, এখন বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের সময়। প্রচন্ড রোদে মাঠে কাজ করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ১০ মিনিট কাজ করলে ৫ মিনিট ছায়ায় বসতে হচ্ছে।
ভ্যানচালক হাবিল উদ্দিন বলেন, খাবারের তাগিদে রাস্তায় বের হচ্ছি। রাস্তায় লোকজন কম, ভাড়াও হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শনিবার ও রোববার বিকাল ৩ টায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। মেহেরপুরের একই তাপমাত্রা হবে বলেই আমরা বিবেচনা করি। এ তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবু সাঈদ বলেন, প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে কালো রঙের কাপড় পরিধান না করারও পরামর্শ দেন।