গ্রাম-গঞ্জ-শহর
মানবতা যেখানে কেঁদে ফেরে...
স্বজনদের আহাজারি, প্রিয়জনের নিথর দেহটি শেষ বিদায়ে খাটনিতে শোওয়ায়ে কাঁধে চড়িয়ে কবরে নিয়ে যেতে না পারার বুক ফাটা কষ্ট ছিলো তাদের চোখে মুখে।
Printed Edition

আমিনুল ইসলাম হিরু, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : স্বজনদের আহাজারি, প্রিয়জনের নিথর দেহটি শেষ বিদায়ে খাটনিতে শোওয়ায়ে কাঁধে চড়িয়ে কবরে নিয়ে যেতে না পারার বুক ফাটা কষ্ট ছিলো তাদের চোখে মুখে।
এমন দৃশ্য চোখে পড়ে রায়গঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মজিবর রহমানের ছেলে সামান তালুকদারের লাশ তার বাড়ি থেকে কবরস্থানে বহনকালে।
গত মঙ্গলবার সামান তালুকদার অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যুর পর দাফনের জন্য যখন ঘর থেকে বাহির করবে তখনই বাধে বিপত্তি। লাশটি খাটনিতে বহন করতে না পেরে হাতে হাত ধরে ঘর থেকে বেরকরে নিয়ে যেতে হয় কবরস্থানে। মৃত সামান তালুকদারের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে তারই জ্ঞাতি ভাই মরহুম মনির হোসেন তালুকদার গং অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিবাদমান জমির বিরোধ থাকায় একমাত্র চলাচলের রাস্তাটিও দোকানপাট তুলে সংকুচিত করে ফেলেছেন তারা। ফলে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘর থেকে বের হওয়ার জটিলতা নিয়েই চলাচল করতো।
এ অবস্থায় খাটিয়া থেকে লাশ নামিয়ে হাতে ধরে ছোট্ট গলি দিয়ে কোনমতে বের করা হয় লাশটি।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দোকানপাট। আর যাতায়াতের জন্য রাখা হয়েছে ছোট্ট গলি। যেখানে একজন মানুষ চলাচল করতে পারবেন। এক সাথে দুজন মানুষ চলাচল কোনমতেই সম্ভব নয়। আমাদের আজ স্বজন মারা গেছে। আমরা আমাদের স্বজনকে ভালভাবে খাটিয়ায় বাড়ি থেকে বের করতে পারি নাই বলে আবেগ আপ্লুত হন নিহতের স্বজনেরা।
চরম স্পর্শকাতর বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চলাচলের রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সঠিক সমাধান পান নি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য ভুক্তভোগী পরিবাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে জানান। তবে ভুক্তভোগীরা বলেন, সেখানে তাদের কোন অংশ নেই। বরং তারা রাস্তা না দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খাদিজা খাতুন বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কেউ কারও প্রতি অন্যায় জুলুম করার কোনো সুযোগ নেই।