দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাবিটা ও কাবিখা (টিআর) প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন। গতকাল ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চলমান এ সকল উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি কামারুজ্জামান, পিআইও অফিসের কার্য-সহকারী রুহুল আমিন প্রমুখ। উপজেলা বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শালনগ্রাম অধিকারিপাড়ার হরি মন্দির উন্নয়ন কল্পের জন্য টিআর বরাদ্দ হতে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করেন ইউএনও। পরে গোলনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড খারিজা গোলনা মসজিদ সংলগ্ন পাকা রাস্তা হতে রফিকুলের বাড়ি অভিমুখে ৪শত ৭৬ ফুট দৈর্ঘ ও ৮ফুট প্রস্ত সিসি করন রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন। কাবিটা প্রকল্পের আওতায় এ উন্নয়ন কাজের প্রাক্কালিক ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৮শত ৯২ টাকা। গোলনা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চিড়াভেজা গোলনা তহিদুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ি হতে নদীর পাড় অভিমুখে উন্নয়ন ও সিসি করণ কাজ পরিদর্শন করা হয়। যার দৈর্ঘ ৩শত ৪৪ ফিট ও প্রস্ত ৯ফুট। টিআর প্রকল্পের আওতায় এ উন্নয়ন কাজের প্রাক্কালিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। গোলনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড চিড়াভেজা গোলনার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে বাউন্ডারি নির্মান কাজ পরিদর্শন করা হয়। অন্যদিকে গোলনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জহুরুলের বাড়ি হতে মসজিদ অভিমুখে রাস্তার উন্নয়ন ও সুসি করণ। যার দৈর্ঘ ৩শত ৮৮ফুট ও প্রস্ত ৮ফুট। প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ধর্মপাল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সরকারপাড়া

বাইতুল জামে মসজিদের টাইলস করণ ও সেট নির্মান কাজ পরিদর্শন করা হয়। যার প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ধর্মপাল ইউনিয়নের সরকারপাড়া জহির উদ্দীন সরকারের বাড়ির সামনে পুকুরে গাইডওয়াল ( প্যালাসাইডিং ) যার প্রাক্কালিন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩শত ২৮ টাকা। অন্যদিকে ধর্মপাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সর্দারহাট হতে গড় ধর্মপাল মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিমুখে রাস্তার এইচবিবি করণ কাজ পরিদর্শন করা হয়। যার দৈর্ঘ ৩শত ১৬ফুট ও প্রস্ত ৮ফুট, প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২শত ১২ মেঃ টন গম। দফে ধর্মপাল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড খেরকাটির হাট পাকা রাস্তা হতে হাই স্কুল সংলগ্ন রাস্তার এইচবিবি করণ যার দৈর্ঘ ৩ শত ৪২ ফুট ও প্রস্ত ১০ ফুট, প্রাক্কলন ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড নকরের হাট হতে মাজার অভিমুখে রাস্তা সংস্করণ ও সিসি করণ, যার দৈর্ঘ ২শত ১০ ফুট ও প্রস্ত ১০ ফুট। প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৭শত ৫০ টাকা। এ বিষয়ে শৌলমারী

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান জানান, টিআর প্রকল্পের আওতায় এ সকল উন্নয়ন মুলক কাজ হওয়ার এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। খুটামারা ইউপি চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পিআইও স্যার স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। তিনি টিআর কাবিটা ও কাবিখা প্রকল্পের আওতার ফান্ট হতে শতভাগ উন্নয়নমুলক কাজের জন্য বরাদ্দ করায় আমরা আন্তরিক। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান জানান, কাবিটা ও কাবিখা টিআর প্রকল্পের আওতায় জলঢাকা উপজেলায় মোট প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে ১ শত ৬৫টি। যার বিপরিদে উন্নয়ন বরাদ্দ নির্ধারন করা হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬শত ৭৪ টাকা এবং খাদ্যশষ্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২শত ৩৫ মেঃটন। আশা রাখি শতভাগ কাজ হবে এবং এ সব উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়িত হলে জলঢাকার উন্নয়নে এক মাইলফলক উন্নয়ন হবে। পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন জানান, টিআর প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ১শত ৬৫ টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ সকল কাজ আমি পরিদর্শন করেছি এবং কাজগুলো সন্তোষ জনক হয়েছে। এতে এলাকার যেমন উন্নয়ন হয়েছে তেমনি এলাকাবাসীও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উন্নয়ন কাজ অব্যহত থাকবে।