স্বামীর কাছে ভাইয়ের পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে স্ত্রী চাঁদনীর (২৫) ওপর চালানো হলো নির্যাতন। আর সেই নির্যাতনে নিহত হলেন ওই গৃহবধূ। অমানবিক এ ঘটনাটি খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা ইসলামীয়া কলেজের পাশের। সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুদ পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাসুদ ও চাঁদনী দম্পত্তি সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা ইসলামীয়া কলেজ এলাকার বাসিন্দা প্যারিসের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। মাসুদ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। প্রায়ই তাদের সংসারে কলহ বেঁধে থাকত। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ তার স্ত্রীকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে স্ত্রী চাঁদনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মাসুদ অসুস্থ স্ত্রীকে রেখেই ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে স্থানীয়রা চাঁদনীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদনীর ভাই হৃদয় জানান, 'ঘটনার সময় আমি বোনের বাড়িতেই অবস্থান করছিলাম। সামান্য ঘটনা নিয়ে প্রায়ই আমার বোনকে মারধর করত স্বামী মাসুদ। আজও একই ঘটনা ঘটে। তাকে মেরে আহত করার পর থেকে মাসুদ বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তাকে আর ওই এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।' সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই আব্দুল হাই বলেন, চাঁদনীর ভাইয়ের কাছ থেকে স্বামী মাসুদ কয়েকদিন আগে ২০০ টাকা ধার নেয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পাওনা টাকার চাওয়ার জন্য হৃদয় মাসুদ ও চাঁদনী দম্পত্তির বাড়িতে যায়। পাওনা টাকা চাওয়া মাত্র হাত দিয়ে মাসুদ তার স্ত্রীর ডান চোয়ালে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁদনীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুদ পলাতক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।